মুনিয়ার মৃত্যুর রহস্যে নাটকীয় মোড়?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০২১, ১২:৪৪| আপডেট : ১৪ জুন ২০২১, ১২:৫১
অ- অ+

হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা? গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে এই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের পর আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেছেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান। ওদিকে ভাই আশিকুর রহমান সবুজ হত্যাকাণ্ডের মামলা করেছেন। আসামি করেছেন হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরীকে (শারুন চৌধুরী)।

মুনিয়ার ভাই এবং ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে করা দুটি মামলা ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, কার অভিযোগ সঠিক? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এই প্রশ্নের সুরাহার করতে অপেক্ষা করতে হবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের জন্য। প্রতিবেদনে বোঝা যাবে, মুনিয়া আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, মুনিয়ার মুঠোফোনের কললিস্ট যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। যেখানে মৃত্যুর আগে সর্বশেষ বোন নুসরাতের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে। নুসরাত নিজেও বলেছেন মুনিয়া তাকে মুঠোফোনে তাড়াতাড়ি আসার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু তিনি দ্রুত পৌঁছতে পারেননি। তিনি বলছেন, ভাড়া করা গাড়ি সময়মতো তাদের কাছে না পৌঁছায় তাদের আসতে দেরি হয়েছে। তবে এনিয়েও আছে প্রশ্ন। যখন ভাড়া গাড়িটি সময়মতো আসছিল না, তখন তিনি কেন বিকল্প গাড়ির ব্যবস্থা করলেন না?

এদিকে মুনিয়ার মৃত্যুর পর পরই শারুন চৌধুরীর সঙ্গে তার বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিংয়ের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, শারুনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল মুনিয়ার। মুনিয়া যে মানসিক বিষণ্ণতা ও হতাশায় ভুগছিলেন, সেটিও তার কথোপকথনে স্পষ্ট ছিল। যদিও শারুন চৌধুরী বরাবরই বলছেন এসব স্ক্রিনশট তৈরি করা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে. শারুন চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে নুসরাতেরও বিভিন্ন সময় কথা হয়েছে। কী নিয়ে তারা কথা বলেছেন সে বিষয়গুলোও মামলার তদন্তের স্বার্থে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া মুনিয়া যে বাসায় থাকতেন তার সিসিটিভি ফুটেজগুলোও তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের এক ফ্ল্যাটে মুনিয়ার লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পায় পুলিশ। মুনিয়া ঢাকার একটি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

পুলিশ জানায়, মুনিয়ার বাড়ি কুমিল্লা শহরে, তার পরিবার সেখানেই থাকে। তিনি এখানে থেকে পড়াশোনা করতেন। ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।

মামলার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, তদন্তের প্রয়োজনে মামলার পর বাদী নুসরাত জাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সেখানে তিনি যে তথ্য দিয়েছেন আর তদন্তে যেসব তথ্য মিলছে তার সঙ্গে কিছুটা অসঙ্গতি রয়েছে। তাই তদন্তের স্বার্থে নুসরাতকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

এ ব্যাপারে নুসরাতের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মামলাটি তদন্ত করছি। তবে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনো আমাদের হাতে আসেনি। এলে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/এইচএফ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
প্রথম প্রেমের স্পর্শ: পাঠকের উদ্দেশ্যে লেখকের বার্তা
কাশিয়ানীতে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন এখনই, ৬০ ব্রিটিশ এমপির খোলা চিঠি
গোসলের পর ওজু করতে হবে কি? ইসলামী বিধান যা বলে
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা