সুস্থ থাকতে মেয়েদের স্পেশাল ডায়েট চার্ট

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১০ জুলাই ২০২১, ১৪:৫৭
অ- অ+

মেয়েদের ফিটনেস বজায় রাখতে তার জন্য চাই সঠিক পুষ্টি। এ বিষয়ে মহিলাদের সচেতন হতে হবে। একজন মহিলা তার পরিবারের যত্নের জন্য অনেক কিছুই করেন। বেশিরভাগ মহিলাই তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকেন না। এমনকি বাড়ির সকলের খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেক সময়ই নিজের খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দেন না মেয়েরা। তাতে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু পুষ্টিগুণের অভাব দেখা যায়। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখতে হবে, যাতে সেই পুষ্টির অভাব পূরণ হয়ে যায়।

ডিম

ডিমে শুধু প্রোটিনই নয়, কিছু পরিমাণে ভিটামিন ডিও পাবেন। যা সাধারণত মেয়েদের শরীরে এমনিতেই কম থাকে। ডিম দিয়ে নানা রকম রান্না করা সম্ভব। ডিম তরকারি, পোচ, অমলেট ও আরও অনেক রকম। তবে সিদ্ধ ডিম খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। এমনিতে দিনে একটা করে ডিম এখন ডাক্তাররা খেতে বলেন। তবে কোলেস্টেরল একটু বেশি থাকলে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। বা সপ্তাহে ৩ দিন খেতে পারেন।

দই

দইয়ে প্রচুর ‘গুড ব্যাক্টেরিয়া’ থাকে। তাই হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য দারুণ খাবার। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও দইয়ের বিকল্প নেই। গ্রিক ইয়োগার্ট খেলে অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিন আর ক্যালসিয়াম পাবেন। তবে বাড়িতে পাতা দই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। বাজার থেকে কোনও ফ্লেভার দেওয়া দই কিনলে সতর্ক থাকুন। তাতে অনেকটা বাড়তি চিনি পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শাক-সবজি

নানা রকমের শাক, লেটুস, ব্রকোলির মতো সবুজ শাক-সব্জি মরসুম অনুযায়ী রোজকার খাবারের সঙ্গে খান। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন কমে যায় আমাদের শরীরে। তাই ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। তাই প্রত্যেকদিন নানা রকম দামি প্রসাধনী ব্যবহার করার বদলে যদি খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দেন, তা হলে বেশি উপকার পাবেন।

ওটস

চটজলদি স্বাস্থ্যকর নাশতার জন্য ওট্সের মতো ভাল জিনিস হয় না। ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ওট্স। গ্লুটেন যদি আপনার সহ্য না হয়, তা হলে ওট্স আপনার ভাল বন্ধু হয়ে উঠবে। ওট্স গুঁড়া করে তা দিয়ে রুটি, কেক, প্যানকেক— সব রকমই বানাতে পারেন। দুপুরের খাবারেও চলতে পারে ওট্সের খিচুড়ি। বিশেষে করে আপনি যদি ওজন কমানোর ডায়েট করেন।

বাদাম

বিভিন্ন ধরনের বাদামে ‘গুড ফ্যাট’ এবং প্রোটিন থাকে। আমন্ড, পেস্তা, ওয়ালনাট, কাজু বাদাম, চিনে বাদাম— সবই স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন। কিছু বাদাম রাতে ভিজিয়ে রাখলে সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা খাওয়ার আগে খেয়ে নিন। অনেক বেশি উপকার পাবেন। এবং সকালের ব্যস্ততায় চটজলদি খাওয়াও হয়ে যাবে। এ ছাড়া চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্সসিড, কুমড়োর বিজ বা অন্য কোনও বিজ দিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে রেখে দিন। বিকেলের দিকে খিদে পেলে অল্প একটু খেয়ে নিতে পারেন।

(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ ও সেক্রেটারিয়েট পুনর্গঠন
আখাউড়ায় ট্রেনচালকের গলিত মরদেহ উদ্ধার
গোপালগঞ্জে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান, নদীপথে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর নজরদারি 
বর্ষাকালে সুস্থ ও ফিট থাকার ১৩ উপায়
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা