ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কী খাবেন, কী খাবেন না

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০২১, ১১:৪৩

বেশি পরিমাণে প্রোটিন বা আমিষ খেলে অথবা অ্যালকোহল জাতীয় খাবার বেশি খেলে দেহে পিউরিন নামক নন এসেনসিয়াল এমাইনো অ্যাসিড তৈরি হয়। এই পিউরিন থেকেই ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এই ইউরিক অ্যাসিড প্রথমে রক্তে চলে যায়। সেখান থেকে কিডনির মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে দেহ থেকে বের হয়ে যায়। রক্তে যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায় এই অবস্থাকে বলা হয় হাইপারইউরিসেমিয়া।

আমাদের প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে কিছু আছে যেগুলোতে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। আবার কিছু পুষ্টিকর খাবার আছে যেগুলো ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে ওষুধের মত কাজ করে।

যেসব খাবার খাবেন না

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে নিজের খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত করুন। ডাল, দুধ ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলুন। আবার দেশী ছোলা, রাজমা, কাবুলি ছোলা, মটর খাওয়া উচিত নয়। এ ছাড়াও ব্রকোলি, মাশরুম, রেড মিট, মিষ্টি ফল, পেস্ট্রি, বার্গার খাবেন না।

কৃত্রিম রং, চিনি বা কর্ন সিরাপ দেওয়া খাবার একেবারে বন্ধ করা উচিত। কোলা জাতীয় পানীয়, রং দেওয়া জেলি, জ্যাম, সিরাপ, কৌট বন্দি ফ্রুট জ্যুস খাওয়া চলবে না। স্মোকড ও ক্যানড ফুড খাওয়া চলবে না। আচার, চানাচুর, নোনা মাছ খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

মাছ, মাংস প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। আমিষ খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই মাছ, মাংসও খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন। অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন কিডনিতে বিপরীত প্রভাব বিস্তার করে। কারণ এর ফলে ইউরিনের মাধ্যমে প্রয়োজনাতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালশিয়াম শরীর থেকে নির্গত হয়ে যায়। অন্য দিকে প্রোটিন যুক্ত খাবার দাবারে উপস্থিত পিউরিনের কারণে শরীরের এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং স্টোন তৈরি হতে পারে।

কিডনি স্টোনের সমস্যা হলে খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন। টমেটোর রস, প্যাকেটজাত খাবার খাবেন না। প্যাকেটজাত খাবারে অধিক পরিমাণে লবণ থাকে।

নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে এবং কিডনিতে স্টোনের সমস্যা দেখা দিলে অধিক পরিমাণে পানি পান করুন। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করবেন। পানি দেহের যে কোনো ধরনের বিষকে দূর করতে সহায়তা করে। এ ক্ষেত্রে ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর পানি। ফলে ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্ব কমে এবং তা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

কী কী খাবেন

ব্ল্যাক চেরির জুস ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কম করে। কিডনি স্টোনের সমস্যা থাকলে এই জুস পান করে উপকার পেতে পারেন। ব্ল্যাক চেরিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি গুণ বর্তমান থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিড কম করতে সাহায্য করে।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারও ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি গুণ শরীরে ক্ষারীয় অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে।

অধিক আঁশযুক্ত খাবার যেমন- সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল। এই আঁশযুক্ত খাবার শরীর থেকে ইউরিক এসিড মল আকারে বের করে দেয়।

চর্বিহীন মাংস খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে মুরগির মাংস উত্তম। তবে চামড়া এবং পাখনা খাওয়া যাবে না। কারণ এতে প্রচুর চর্বি থাকে। তাছাড়া পরিমাণ মতো মাছ এবং কুসুম ছাড়া ডিম খাওয়া যাবে। ফ্যাট ছাড়া দুধ বা স্কিম মিল্কও খেতে পারবেন।

বেশি বেশি টক ফল বা ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। গ্রিন টি ইউরিক এসিড কমাতে সহায়তা করে। তাই ইউরিক এসিড কমাতে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন।

ওজন স্বাভাবিক রাখতে সপ্তাহে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :