গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের ঘরোয়া উপায়

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০২১, ০৯:০৩
অ- অ+

মানুষের চলমান জীবনধারায় আমূল বদল। খাওয়া কম, ঘুম কম। কাজ বেশি। ফাস্ট ফুড জায়েন্টদের রমরমায় সবার পছন্দ এখন শুধুমাত্র ফ্রায়েড খাবার। খাবার সময়েরও কোনও ঠিক নেই। এতে করে গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ডে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হয় অম্বলের প্রবণতা দেখা দেয়। সকলেই কখনও না কখনও এই অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যান। কারও প্রায়ই হয়। কেউ ভোগেন মাঝেমধ্যে। আবার বিশেষ করে তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেলে এমন হয়েই থাকে। মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়েও কোনও প্রতিকার পাচ্ছেন না। উল্টে আপনার অজান্তেই শরীরে বাসা বাধছে হাজারটা রোগ-যন্ত্রনা। এই অস্বস্তির সঙ্গে লড়ার কিছু ঘরোয়া উপায় আছে। তেমনই কয়েকটি জেনে নিন।

পেটে গ্যাস-অম্বল হলে অনেকেই বোতলজাত ঠান্ডা পানীয় খান। ভাবেন, তাতে উপস্থিত সোডা থেকে আরাম মিলবে। কিন্তু এমন পানীয় বাদ দেওয়াই ভাল। কফিও এ সময়ে না খেলেই হয়। বরং হাল্কা করে দুধ-চিনি ছাড়া হার্বাল চা পান করা যায়।

কিছুক্ষণ পর পর হালকা গরম পানি খেলে আরাম পাওয়া যাবে।

সব সময় গ্যাস- অম্বল হওয়ার প্রবণতা থাকলে প্রতিদিন কলা আর তরমুজ খাওয়া ভাল। তাতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে গ্যাস-অম্বল। এমন পরিস্থিতিতে সাহায্য করে শসাও।

ডাবের পানি গ্যাস-অম্বল সারানোর ক্ষমতা রাখে। হঠাৎ গ্যাস-অম্বল হয়ে গেলে এক গ্লাস ডাবের পানি শরীরের ভিতর জ্বালা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ খেলেও এই অসুবিধা অনেকটা কমে।

পরিবর্তন আনতে হবে খাওয়াদাওয়ার নিয়মেও। বিশেষ করে রাতের খাবার খেতে হবে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুইঘণ্টা আগে।

আদা খেলে গ্যাস-অম্বলের সময়ে আরাম পাওয়া যায়। বাড়িতে আদার গুঁড়া রেখে দেওয়া যেতে পারে।

অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধূমপান অম্বলের আশঙ্কা বাড়ায়। ফলে দুইটি অভ্যাসই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

সাধারণত গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে ঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া না করলে। ফলে রোজের খাওয়ার সময় নির্দিষ্ট রাখুন। আর মাছ-মাংস যতই থাকুক, খেতে হবে নানা ধরনের শাক-সবজিও।

গ্যাসের সমস্যায় কলার বিকল্প হয় না। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা করে কলা খান খালি পেটে। কিছুদিনের মধ্যেই আপনি উপকার পাবেন।

টক দই, যার কোনও বিকল্প নেই। টকদইয়ে থাকে ক্যালসিয়াম, যা পাকস্থলীতে গ্যাস তৈরি হতে দেয়না। এর সঙ্গে বিটনুন মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আরও ভাল ফল মিলবে। টকদইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী বানায়।

মুহূর্তেই আপনার গ্যাসের ব্যথা কমাতে পারে মৌরি। খাওয়ার পরে মৌরি চিবিয়ে খেলে অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। রাতের বেলা ঘুমোতে যাওয়ার আগে জলে মৌরি ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে খান। কিংবা গরম জলে মৌরির সঙ্গে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খেতে পারেন। এইভাবেও গ্যাসের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/আরজেড/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের দাবিতে নগরভবনে তালা
জামালপুরের মেলান্দহে সুইপার কলোনিতে আগুন, দগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু 
নোয়াখালীতে বন্দুকসহ মাদক কারবারি আটক 
যেভাবে আওয়ামী লীগবিরোধী মুখ হয়ে ওঠেন আন্দালিব পার্থ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা