সেদ্ধ ডিম কতক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকে?

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:৩১| আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৪৫
অ- অ+

অনেকেই ডিম সেদ্ধ করে রেখে দেন অনেকক্ষণ। দীর্ঘসময় পর ডিম খান। পথেঘাটে ফেরিওয়ালারা ডিম সেদ্ধ করে বিক্রি করেন। দীর্ঘসময় আগে সেদ্ধ করা ডিম আদৌ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি কি না সেটা জরুরি। তার আগে জানতে হবে সেদ্ধ ডিম কতক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকে।

সব ধরনের ডিম ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪.৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াসের নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।

আর অবশ্যই মনে রাখতে হবে খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ ডিম কোনোভাবেই ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা যায় না। ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ছাড়া সাধারণ তাপমাত্রায় ডিম সেদ্ধ করার পর দুইঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে। অর্থাৎ তার পরে আর না খাওয়াই ভালো।

আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ এর তথ্যানুসারে, দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে এরকম খাবারের মধ্যে ডিম সেদ্ধ করার পর সাধারণত দুই ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে ফেলা উচিত।

এরপরে হয় ফেলে দিতে হবে নয়তো ফ্রিজারে সংরক্ষণ করতে হবে। তবে অবশ্যই খোসা না ছাড়ানো অবস্থায়। এরপরই ডিম খারাপ হতে শুরু করে।

খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ ডিম হলে, সেটা খেতে হবে টাটকা। অর্থাৎ যেদিন সেদ্ধ করা হবে সেদিনই খেতে হবে। ডিম সেদ্ধ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি দিয়ে একটু ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

প্রকৃতপক্ষে, যখন সেদ্ধ ডিম ৪ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রায় রাখা হয়, তখন এর ব্যাকটেরিয়া ধীর গতিতে বৃদ্ধি পায়। সেদ্ধ ডিম কেবলমাত্র দুই ঘণ্টার জন্য ঘরের তাপমাত্রায় থাকতে দিন। এর পর সেগুলো ফ্রিজে রাখুন।

আপনি একটি এয়ার টাইট পাত্রে ডিম রাখতে পারেন। সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখলে দুর্গন্ধ হতে পারে, যা হাইড্রোজেন সালফাইড থেকে আসছে।

ডিম সেদ্ধ হলে এই গ্যাসও উৎপন্ন হয়। কিন্তু এটি কোনোভাবেই ক্ষতিকর নয়। ফ্রিজে ডিম রাখলে আরও শক্ত হয়ে যায়, ফলে অদ্ভুত স্বাদ পেতে পারেন। সেদ্ধ ডিমের কি খোসা রাখা উচিত?

আপনি যদি অবিলম্বে সেদ্ধ ডিম খেতে না চান, তাহলে আপনার এটি খোসা ছাড়ানো উচিত নয়। আপনি যদি ডিম খেতে চান, তখন তার খোসা ছাড়িয়ে ফেলুন এবং অবিলম্বে খেয়ে নিন। এটি ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসতে বাধা দেবে। ডিম ফুটানোর সময় ভেঙে গেলে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিন।

ডিম নষ্ট হয়েছে কিনা তা জানবেন কীভাবে?

যদি আপনি মনে করেন যে ডিমটি খারাপ হয়ে গেছে, তাহলে আপনি দেখতে পারেন যে ডিমের খোসা চটচটে হয়ে গিয়েছে, বা তার রঙ চকলেট হয়ে গেছে। যদি তাই হয়, ডিম খাওয়ার উপযোগী নয়। মনে রাখবেন যদি ডিম নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তা কখনই খাবেন না। এটি করলে আপনার ডায়রিয়া, বমি এবং নার্ভাসনেসের মতো সমস্যা হতে পারে। অনেকেই ডিমের কুসুমের সবুজ রঙকে খারাপ বলে মনে করেন। কিন্তু ডিম অতিরিক্ত রান্না করা হলে এটি ঘটে।

(ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
‘গুলি করলে মরে একটা, বাকিডি যায় না’ বলা সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিকে গাড়ি হস্তান্তর করেছে এবি ব্যাংক
সিরাজগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৬ জনের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা