দুর্দান্ত মনোবলের কিউইদের চোখ শিরোপায়

ক্রীড়া ডেস্ক,ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৭:০৭ | প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৫:১০

কেন উইলিয়ামসন কি নিজেকে একটুও দুর্ভাগ্যবান মনে করেন না? হয়ত করেন। আর না করার বহু কারণও আছে বৈকি! পরপর সাদা বলের দুটি বিশ্বকাপ হাতছাড়া হলে তো কেউ আর খুশি হতে পারে না, তাই না! কিন্তু কিউইদের শান্ত এবং ভদ্র স্বভাবের কারণে মাঠের কোনো ঘটনাতেই তেমন একটা প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। বরং দেখা যায় উইলিয়ামসনদের উল্টো চরিত্র। দেখা যায়, একতাবদ্ধ ও হাল না ছাড়া দুর্দান্ত মনোবলের এক দলের দুরন্ত লড়াই।

বর্তমান আসরেও তেমন ধীর ও দৃঢ় প্রত্যয়ী কিউইরা। পাকিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করার পরও কি দারুণ বাউন্স ব্যাক! কি অদ্ভুদ সুন্দর তাদের কম্বিনেশন! গ্রুপ পর্বে ভারতকে হারানোর পাশাপাশি আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত সব জয়। আর সেমিফাইনালে আসরের অন্যতম ফেবারিট ইংল্যান্ডকে গুড়িয়ে দেওয়া। প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা এবং তাসমান সাগর পাড়ের আরেকটি চেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াইয়ের সুযোগ। সবটা যদি এক সুতোয় বাঁধতে চান তাহলে প্রথমে চোখে পড়বে কিউইদের দলীয় পারফরম্যান্স এবং ঐক্যবদ্ধতা।

সেই ঐক্যবদ্ধতাকেই পুঁজি করে এবার শিরোপা তুলে ধরার জন্য মরিয়া কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে খেলতে চাই। দলের সবাই একে অপরের জন্য খেলবে। দুটি সেমিফাইনালই রোমাঞ্চকর ছিল। এমন মুহূর্ত আমরা কাজ দেখেয়েছি, যা ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু দারুণ মুহূর্তও দেখেছি। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টটি রোমাঞ্চকর ও প্রতিযোগিতামূলক ছিল। এখন আমাদের কাজ সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে লাগানো, যেটা করে দেখিয়েছি। এখন আগামীকাল (আজ) আমাদের সামনে আরেকটি সুযোগ আছে।’

আরেকটি সুযোগই বটে! ২০১৫ সালের পর আইসিসি আয়োজিত বিশ্ব আসরের চারটির তিনটিতেই ফাইনালিস্ট ছিলো কিউইরা। কিন্তু শিরোপা জিততে পেরেছিল মাত্র একটিতে (আেইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ)। হেরেছিল দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এবার ভিন্ন ফরম্যাট, ভিন্ন ভেন্যু— কিন্তু একই ব্লাক ক্যাপসরা। লক্ষ্যও এবার একই সাদা বলের ক্রিকেটে প্রথম শিরোপায় নিউজিল্যান্ডের নাম লেখানো।

টানা খেলায় ক্লান্তির চিন্তা করছেন উইলিয়ামসন।

ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন জানালেন ফাইনাল ম্যাচ হলেও সেটা অন্য সাধারণ ম্যাচের মতোই দেখছেন তিনি। কিন্তু শিরোপা ঘরে তুলতে বদ্ধপরিকর এই কিউই ব্যাটসম্যান। ‘এটা দারুণ একটা অর্জন হবে। কিন্তু এটা একটা ক্রিকেট ম্যাচই। আমরা সেভাবে ম্যাচটিতে মনোযোগ দিচ্ছি। আমরা মাঠে গিয়ে নিজেদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই।’

মাঠের বাইরে কিউইরা না যতটা শান্ত মাঠে ঠিক উল্টো— আগ্রাসী। তবে সেটা ব্যাটে বা কখনও বলে। পুরো দল ধারাবাহিক ফর্ম দেখিয়েই উঠে এসেছে ফাইনালে। কিন্তু ব্যস্ত সূচি চিন্তায় ফেলতে পারে কিউইদের। তবে উইলিয়ামসনের অপেক্ষা শুধু ফাইনাল নিয়ে। ‘ক্লান্তিকর সূচি। সাত দিনে চারটা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। সেমির পর ছুটির দিন কাটিয়েছি। প্রস্তুতি খুব ভালো। এখন ভিন্ন প্রতিপক্ষ ও ভিন্ন ভেন্যুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে। সেমিফাইনাল জেতার পর সবাই খুব রোমাঞ্চিত। এখন ফাইনালের অপেক্ষা।’

হিসেবের শেষ সময়ের খেরোখাতায় অবশ্য এখন এই একটা সমাধান কষারই অপেক্ষা— কার হাতে উঠছে শিরোপা? ক্রিকেট বিশ্বের মারমার কাটকাট সংস্করণে আর যাই হোক অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ড— যে দলই জিতুক, নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে বিশ্ব। আর তাসমান সাগরপাড়ের দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে উপভোগ্য হবে, তা না বললেও চলে। তবে শেষটা দেখার অপেক্ষা— কার ঘরে যাচ্ছে এবারের রুপালি ট্রফি!

(ঢাকাটাইমস/১৪নভেম্বর/এইচএন)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :