ইউক্যালিপটাস গাছের তেলের জাদুকরী গুণ

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:০০

মানুষের উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি করে এমনই পরিবেশের জন্য একটি ক্ষতিকর গাছ ইউক্যালিপটাস। ইউক্যালিপটাসকে বলা হয় রাক্ষুসে গাছ। এটি যেখানে আছে তার আশপাশের গাছগুলো বেঁচে থাকার পুষ্টি সহজে পায় না।

ইউক্যালিপটাস গাছ থেকে কিনো, তেল ও ট্যানিন পাওয়া যায়। ইউক্যালিপটাস গাছের তেলের অনেক ব্যবহার রয়েছে, বিশেষত অ্যান্টিসেপটিক ও পরিষ্কারক হিসেবে, মশা নিধনেও এই তেলের ভূমিকা রয়েছে।

ভারত, চীন, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে দেখা যায় ইউক্যালিপটাস গাছ। অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম, অয়েনমেন্ট তৈরি করতে কাজে লাগে ইউক্যালিপটাস।

আয়ুর্বেদিক ওষুধ, চিন, গ্রিস সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ওষুধ তৈরিতে কয়েক শতাব্দী ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে ইউক্য়ালিপটাস।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে প্রায় ৪০০ ধরনের ইউক্যালিপটাস গাছ রয়েছে। এই গাছের পাতা থেকে তেল তৈরি হয়, যা ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার হয়।

এছাড়া ইউক্যালিপটাস গাছের তেলের আছে জাদুকরী গুণ। বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ইউক্যালিপটাস গাছের তেলের জুড়ি নেই-

ওষুধ, অয়েনমেন্ট, সুগন্ধী, তেল তৈরিতে কাজে লাগে, সর্বগুণসম্পন্ন গাছ ইউক্যালিপটাস। পেশি ও গাঁটের যন্ত্রণা, সর্দি-কাশি, রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ইউক্যালিপটাস। ইউক্যালিপটাস গাছ থেকে যে তেল পাওয়া যায়, তা অ্যান্টিসেপটিক, সুগন্ধী তৈরি সহ বিভিন্ন কাজে লাগে।

গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় যে অয়েনমেন্ট ব্যবহার করা হয়, সেগুলি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় ইউক্যালিপটাসের পাতা।

দাঁতের সমস্যাতেও ব্যবহার করা হয় ইউক্যালিপটাস থেকে তৈরি মাউথওয়াশ, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ। মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে ইউক্যালিপটাস।

ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, ত্বকের ক্ষত সারাতেও ব্যবহার করা হয় ইউক্যালিপটাস থেকে তৈরি ওষুধ।

কীটপতঙ্গ মারতেও ব্যবহার করা হয় ইউক্যালিপটাস। মশা তাড়াতেও ব্যবহার করা হয় ইউক্যালিপটাস থেকে তৈরি তেল।

পেশি ও গাঁটে ব্যথা, বাতের ব্যথা, চোট সারাতে ব্যবহার করা হয় ইউক্যালিপটাস থেকে তৈরি ওষুধ, অয়েনমেন্ট।

শ্বাসরন্ধ্রের নানা অসুবিধা দূর করে ইউক্যালিপটাসের তেল। বুকে কফ জমা, নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়া, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ থাকা, ব্রঙ্কাইটিস ও সাইনোসাইটিসের সমস্যায় এ তেল খুবই কাজের।

সংক্রমণ, জ্বর ও ফ্লুঘটিত রোগে আরাম পেতে তেলটি ব্যবহার করুন। সর্দির ক্ষেত্রে গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা তেল ছেড়ে দিয়ে বাষ্প নাকে টেনে নিন কিংবা সামান্য তেল নাকে ঘষে নিন। ঘুম আসবে দারুণ।

চুলে উকুন হওয়া বড়ই অস্বস্তিকর ও লজ্জাজনক এক পরিস্থিতি। অনেক কিছু করেও এর থেকে মুক্তি মেলে না। চুলে যে তেল দিচ্ছেন তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল ওয়েল মিশিয়ে নিন। চুলে ব্যবহার করুন। খুব দ্রুত উকুনের যন্ত্রণা চলে যাবে।

খুশকি, চুলকানি কিংবা সোরিয়াসিসের মতো সমস্যায়ও এই তেল উপকারী। এক টেবিল চামচ নারিকেল বা জলপাই তেলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল ওয়েল নিন। এটা ভালো করে মাথা ও চুলে ম্যাসাজ করুন। কয়েক ফোঁটা আবার সরাসরি চুলের গোড়ায় দিতে পারেন। দেখবেন, চুল দ্রুত বাড়ছে এবং সমস্যাও মিটে গেছে।

যারা এ রোগে আক্রান্ত তারা ইউক্যালিপটাস তেলে ভরসা আনতে পারেন। সামান্য পরিমাণ তেল নিয়ে বুকে মালিশ করুন। এর গন্ধ শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করুন। আরাম পাবেন। গলার খুসখুসে ভাবও থাকবে না। এই তেল রক্তবাহী নালিতে রক্তের সুষম প্রবাহের সৃষ্টি করে।

ইউক্যালিপটাস তেল হাঁচি-কাশি সারাতে বেশ কার্যকর। একটা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো বা রুমালে তিন ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নিন। হাঁচি শুরু হলে এটি ক্রমাগত শুঁকতে থাকুন। এই তেলের গন্ধেও হাঁচি থেমে যায়।

(ঢাকাটাইমস/২৮ডিসেম্বর/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :