অশ্বত্থ গাছের পাতায় বহু রোগের নিরাময়
বহু প্রাচীনকাল থেকেই ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ অশ্বত্থ পাতা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে৷ গ্রামে বা শহরে সহজেই দেখা মেলে অশ্বত্থ গাছের। ২৪ ঘণ্টাই আমাদের অক্সিজেন দেয় এই গাছ। অনেকেই এর ছায়ায় বসে প্রাণ জুড়ায়। তবে শুধু অক্সিজেন আর ছায়াই নয়, মানবদেহের অনেক গোপন রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও অশ্বত্থ গাছ খুবই উপকারী।
অশ্বত্থ গাছের পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ, অ্যাস্টোরয়েড, মেনস, ফেনোলিক এবং এর বাকলে রয়েছে ভিটামিন কে, ট্যানিন জাতীয় বিভিন্ন উপাদান৷
অশ্বত্থ গাছ প্রায় ৩০ মিটার দীর্ঘ হতে পারে। এর পাতাগুলো পান পাতার মতো অনেকটা৷ এবং এর ফলগুলো কাচা অবস্থায় ডুমুরের মতো কিছুটা দেখতে৷ অশ্বত্থ গাছ দীর্ঘায়ু হয়৷ কোনও কোনও গাছ ৫০০-৮০০ বছরের বেশি পুরনোও হতে পারে৷ অনেকে বনসাই অশ্বত্থ পছন্দ করেন, তাই তার কদরও খুব বেশি৷
অশ্বত্থ গাছের পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ, অ্যাস্টোরয়েড, মেনস, ফেনোলিক।
অশ্বত্থ গাছের বাকলে রয়েছে ভিটামিন-কে। পাশাপাশি এই গাছে রয়েছে ট্যানিন জাতীয় বিভিন্ন উপাদান। কাজেই অশ্বত্থ গাছের প্রতিটি অংশ ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ।
ডায়াবেটিস-এর সমস্যায় অশ্বত্থ ফল এবং হরিতকি পাউডার-এর মিশ্রণ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বলে দাবি করা হয়।
ডায়েরিয়ার সমস্যা সমাধানে অশ্বত্থের ভূমিকা রয়েছে। পেটের বিভিন্ন সমস্যায় বা পেটের ব্যথা উপশমে এটি সাহায্য করে। সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে অশ্বত্থের পাকা ফল।
শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যাও এই গাছের পাকা ফল এবং বাকল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। পাকা ফল এবং বাকল গুঁড়া করে সমানুপাতে সেগুলি মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহারে এই সমস্যা কমে বলে দাবি।
অনেকে বলেন চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে এই গাছের পাতা। ত্বকে কোনও জ্বালা বা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
শীতকালে পা ফাটার সমস্যা সমাধানে এই গাছের পাতার নির্যাস সহায়তা করে।
দাঁত ব্যথা সারাতে অশ্বত্থ পাকা উপকারী, দাঁত পরিষ্কার ও মজবুত অশ্বত্থ পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/৩০ডিসেম্বর/আরজেড/এজেড)