বিস্ফোরণে নিজেকে ধ্বংস করল সূর্যের মতো জ্যোতিষ্ক!

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪০| আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৫৯
অ- অ+

বিজ্ঞানীরা এই প্রথম মহাজাগতিক বিস্ময় লক্ষ করলেন! সূর্যের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বড় একটি জ্যোতিষ্ক ক্রমশ সংকোচন-প্রসারণের টানাটানির লড়াইয়ে নিজেই নিজেকে ধ্বংস করে এগিয়ে গেল পরবর্তী পর্যায়– সুপারনোভার দিকে।

বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ধৈর্য ধরে যৌথ পর্যবেক্ষণের পর এই ছবি চাক্ষুষ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবার নক্ষত্রটির নতুন দশা অর্থাৎ সুপারনোভার গঠনের পদ্ধতিটিও তারা পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছেন।

বিজ্ঞান বলে, মহাকাশে ভারী নক্ষত্রগুলোর এটাই ভবিষ্যৎ। নিজেদের ভারে আর নিজেরাই অবস্থানে থাকতে পারে না। তখন প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এগিয়ে নতুন পর্যায়ের দিকে। তখন তারা ক্রমশ সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে পরিণত হয় সুপারনোভায়। যুগ যুগ ধরে মহাশূন্যে তারাদের এভাবেই মৃত্যু এবং পুনর্জন্ম হচ্ছে।

বিজ্ঞান পড়ুয়ারা এই তত্ত্ব জানা। কিন্তু স্বচক্ষে এই ভাঙ্গাগড়ার খেলা দেখার তো কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তবে বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির দুরন্ত গতিতে আর কিছুই বোধহয় অসম্ভব নয়। স্বচক্ষে না হোক, অন্তত ক্যামেরার চোখ দিয়ে এবার দেখা গেল সূর্যের চেয়ে ১০ গুণ ভারী নক্ষত্রের প্রবল বিস্ফোরণ। দেখা গেল কীভাবে ধীরে ধীরে নিজেকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

গত ১৩০ দিন ধরে বার্কলে, ক্যালিফোর্নিয়া এবং নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটানা নজর রেখেছিলেন ওই বিশালাকার নক্ষত্রটির দিকে। আর আশ্চর্যজনকভাবে তাঁরা খেয়াল করেন যে বিস্ফোরণের সময় ব্যতিক্রমীভাবে কোনও শব্দ নেই। বিশেষত ধ্বংসের ঠিক আগের মুহূর্তে বোঝাই যায় না যে এক মহাজাগতিক বদল ঘটে গেল।

সম্প্রতি অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে তাদের এই পর্যবেক্ষণের কথা প্রকাশিত হয়েছে। এর মূল প্রতিবেদক তথা বিজ্ঞানী উইন জ্যাকবসন-গালান লিখেছেন, ‘এই ঘটনা তারার জন্ম নিয়ে আমাদের চিরাচরিত ধারণাকে বদলে দিল। একটা বড়সড় তারা ধ্বংস হয়ে কীভাবে নতুন তারার জন্ম দেয়, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। আমরা এই প্রথম দেখলাম, একটা লালচে বিশালাকার নক্ষত্র কীভাবে নিজে নিজে বিস্ফোরণ ঘটাল।’

আরেক প্রতিবেদক রাফায়েলা মারগুতির মতে, ‘মনে হচ্ছিল একটা টাইম বোমা দেখছি। একটু একটু করে বিস্ফোরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা মৃতপ্রায় নক্ষত্র অনেকটা আলো ছড়িয়ে, সশব্দে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, শক্তি উৎপন্ন করেই যে স্রেফ মৃত্যুর পথে এগিয়ে যায় না, তা আমরা আগে কখনও ভাবতেই পারিনি।’

(ঢাকাটাইমস/৯জানুয়ারি/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আধাঘণ্টার ব্যবধান: মোহাম্মদপুরে ফটোগ্রাফার, হাজারীবাগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে খুন
বিচারপতি আবদুর রউফ স্মরণে জীবনালেখ্য ও দোআ অনুষ্ঠিত
ইয়েমেনের দুই বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
চাঁদপুরে পুলিশ কর্মকর্তার চুরি যাওয়া অস্ত্র ঢাকায় উদ্ধার, আটক ২
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা