উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি, মাস্ক পরায় অনীহা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১:২৩| আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩৮
অ- অ+

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষায় বৃহস্পতিবার থেকে দেশে সরকারঘোষিত ১১ দফা বিধিনিষেধ মানার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু রাজধানীতে এসব বিধিনিষেধ একেবারেই উপেক্ষিত। রাস্তায় চলাচলকারীদের মধ্যে মাস্ক পরতেও অনীহা দেখা গেছে।

বিধিনিষেধ চলাকালে কী করা যাবে, কী করা যাবে না তা নিয়ে গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।

বন্ধ থাকবে সভা-সমাবেশ। বাস-ট্রেন-লঞ্চে মাস্ক পরিধান ছাড়া চলাচল করা যাবে না। এসব নির্দেশনা কেউ না মানলে তাকে জেল-জরিমানার মুখে পড়তে হবে।

কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলিস্তান, আজিমপুর, নিউ মার্কেট, পল্টন, মগবাজার, মালিবাগ, বাড্ডা, সদরঘাট, রামপুরা, মহাখালী, ফার্মগেট ও মোহাম্মদপুর এলাকা সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চলাচলকারী বেশিরভাগ গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও গাদাগাদি করে সব আসনে যাত্রী পরিবহন করছে।

বাস চালকরা বলছেন, যাত্রীর তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় অফিস সময়ে সরকারি নির্দেশনা মানতে পারছেন না তারা।

দীর্ঘ সময় বাসের অপেক্ষা। যেসব বাস আসছে তাতে নেই তিল ধারণের ঠাঁই। বাড্ডা লিংক রোড থেকে মহাখালী পর্যন্ত একটি বাসে উঠে দেখা গেল সব আসনেই যাত্রী নেয়ার পরেও দাঁড় করিয়ে নেয়া হয়েছে।

রাজধানীর সব সড়কে গণপরিবহনের এমন অবস্থা। স্বাস্থ্যবিধি মানছে কি না তা তদারকির ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। রাস্তায় চলাচলকারীদের মধ্যে মাস্ক পরায় অনীহা দেখা গেছে। অনেকে মাস্ক পরেছেন থুতনির নিচে, যা মূলত স্বাস্থ্যসুরক্ষায় কার্যকরী নয়।

রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশে বুধবার করোনা রোগী শনাক্তের হার যেখানে ছিল ৯ শতাংশে, তা বৃহস্পতিবার ১১ শতাংশে উঠেছে। ১০-১৫ দিন আগেও শনাক্ত রোগী দুই থেকে আড়াইশ জন থাকলে এখন সেটি তিন হাজারের কাছাকাছি।

জাহিদ মালেক বলেন, কিছুদিন আগেও হাসপাতালে রোগী ছিলো আড়াইশর মতো। আর এখন তা বেড়ে হাজার ছাড়িয়েছে। এটি আরও বাড়বে। এতে করে মৃত্যুও বাড়বে। আবারও চিকিৎসকদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হবে। এটা বাড়লে বেকায়দায় পড়তে হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বায়রা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু, মারা গেছে তিনটি গরু
এক কার্গো এলএনজি, ৭০ হাজার টন সার কিনবে সরকার
অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে চবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার বরখাস্ত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা