রাজনৈতিক দলগুলোকে ইভিএমের নির্বাচনে না যাওয়ার অনুরোধ তৈমূরের

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৫০

বিএনপি থেকে বহিষ্কার হলেও দলটির সমর্থক হিসেবে রাজনীতি করে যাবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। একইসঙ্গে ‘ভোট ডাকাতির বাক্স’ ইভিএমের মাধ্যমে কোনো নির্বাচনে অংশ না নিতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার নারায়ণগঞ্জ নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়িতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সিটি নির্বাচনে পরাজয় বরণ করা তৈমূর আলম বলেন, ‘আমি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী। দল আমাকে বহিষ্কার করলেও আমি একজন সমর্থক ও কর্মী হিসেবে আমি রাজনীতি করে যাব।’

‘বিএনপি আমাকে বসায় দিলো আর কুমিল্লার সাক্কুকে নির্বাচন করতে না করলো। তারপরও সে করলো এখন এটাই যদি দেশের রাজনীতি ও সংস্কৃতি হয়ে থাকে তাহলে এটাই মেনে নিতে হবে।, বলেন তৈমূর আলম।

তৈমূর বলেন, ‘দল আমার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি সে ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ করবো না। কারণ আমি দলের প্রতি অনুগত। এখন আমার দায়িত্ব হলো দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জনমত গড়ে তোলা এবং ভোট ডাকাতির বাক্স ইভিএমের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা। আমি সব রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করবো এই ইভিএমের মাধ্যমে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার জন্য।’

তৈমূর বলেন, আমাদের দেশের আমলাতন্ত্র মেরুদণ্ডহীন। তাদের কাছ থেকে একটা সুষ্ঠু ভূমিকা আশা করা যায় না। অতএব ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনে গেলে কোনো লাভ হবে না।

আমি তো দল পরিবর্তন করবো না, তবে আমি মানুষের জন্য কাজ করবো জানিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা তৈমূর আলম বলেন, ‘বিএনপি যেটা ভালো মনে করেছে সেটা করেছে। দল যেহেতু আমাকে আন্দোলন সংগ্রাম থেকে মুক্তি দিছে তাই আমার হাতের সামনে যে দুইটা কাজ সে দুইটা করবো আর খেটে খাওয়া মানুষের জন্য রাজনীতি করবো।’

তৈমূর বলেন, ‘আমি বিএনপির সাফল্য কামনা করি। তারেক জিয়ার বাংলাদেশে আগমন কামনা করি। তার সুস্বাস্থ্য কামনা করি এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করবো আপনি দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেন, ইতিহাসে আপনার নামটা লেখান।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর বলেন, দল না চাইলেও নারায়ণগঞ্জের খেটে খাওয়ার মানুষের চাপে আমি নির্বাচন করেছি। সিটি করপোরেশনের অব্যবস্থপনা ও খেটে খাওয়া মানুষের পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদসহ নানা কারণে আমি প্রার্থী হয়েছিলাম। আমি আমার স্ত্রী ও মেয়েকে প্রস্তাবকারী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেই। দলে অনেকে আমাকে নির্বাচনে থাকতে ফোন করেছেন, এসএসএস করে উৎসাহ দিয়েছেন, কিন্তু দল থেকে কোনো বাধা আসেনি।’

তৈমূর বলেন, ‘নির্বাচনে দল থেকে আমাকে কখনো বলা হয় নাই নির্বাচনে যাবা না। দলের পল্টন অফিস থেকে কোনো কোনো নেতা বলেছেন নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে যেতে না। তাহলে আমার পক্ষে না গেলে কার পক্ষে যাবে বিএনপির লোকজন। সেক্ষেত্রে ভোটটা তো নৌকার পক্ষেই যায়।

তৈমূর বলেন, ‘আমি মনে করি আমার সাথে যা হওয়া হইছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি এটিএম কামালের সঙ্গে যা হইছে তা ঠিক হয়নি। কারণ এমন একটা ত্যাগী কামাল তৈরি হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমার কোনো চিন্তা নাই। আমার এখন একটাই চিন্তা, নির্বাচনের সময় আমার যেসব নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা ছাড়ানো। তারা ছাড়া পেলে আমার চিন্তা শেষ।’

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :