সাগর-রুনি হত্যার বিচার একদিন হবে, আশায় সহকর্মীরা

দশ বছর পেরিয়ে গেলেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজই শুরু হয়নি। এটা নিয়ে তাদের সহকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। তবে এখনই সাংবাদিক সমাজ হাল ছাড়তে নারাজ। একদিন আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হবে এবং দায়ীরা বিচারের মুখোমুখি হবে বলে আশায় বুক বেঁধে আছে সাংবাদিকরা।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সরকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েও লাভ হচ্ছে না। আমরা আগেও প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি, তাতেও কোনো কাজ হয়নি। তবে আমাদের দাবি ও স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবারও দেবো। আমরা তাদের একটি ডেটলাইন দিতে বলবো, আসলে কত দিনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারবেন। তবে আমরা হতাশ হতে চাই না, একদিন সাগর-রুনি হত্যার বিচার পাবো।’
শুধু সাগর-রুনির ক্ষেত্রে নয়, অন্য যেকোনো সাংবাদিকের ক্ষেত্রে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কথা বলে জানিয়ে সংগঠনটির শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের যেসব সাংবাদিক সংগঠন আছে তারা আজকে অন্তত একটা কর্মসূচি দিতে পারতো। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাণের তাগিদেই এই কর্মসূচি একের পর এক দিয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু সাগর-রুনির ক্ষেত্রে না, অন্য যেকোনো সাংবাদিকের ক্ষেত্রে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কথা বলে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, ‘সাংবাদিক পেশার দুজন মানুষকে এক দশক আগে হত্যা করা হয়েছে। আদালত যদি এই বিচারের দিকে সুদৃষ্টি দেয় তবে সারাদেশের মানুষের প্রত্যাশার বিচার দ্রুত শেষ হবে।’
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলাম খান তপু বলেন, ‘২০১২ সালের এই দিনে সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি খুন হন। ওই বছর আমাদের প্রতিবাদের বছর ছিল। সারাদেশে দলমত নির্বিশেষে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল সেটির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই ডিআরইউ। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা সেই বিচার পাইনি। দফায় দফায় তদন্ত প্রতিবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে ৮৫ বার। হয়তো কয়েক দিন পরে সেটি ১০০ পার হয়ে যাবে। সেটি না করে দ্রুত আমরা বিচার চাই।’
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন হয়নি এই প্রশ্নের উত্তর রাষ্ট্রের কাছে চেয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুন বলেন, ‘সবাই বলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিতা করার কথা। সেদিনও আমরা বলেছিলাম, যেই দুটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাগর ও রুনি কাজ করতেন, সেই দুটি চ্যানেলসহ আমরা সবাই এই হত্যাকাণ্ডকে নানাভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছি। সাগর-রুনি হত্যা, মানিক সাহা, বালু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। কেন হয়নি?- এ প্রশ্নের জবাব রাষ্ট্রের কাছে চাই।’
ডিআরইউ এর সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য কুদরাত-ই খোদা এবং মইনুল আহসান, ডিআরইউর যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, অর্থ সম্পাদক এস এম এ কালাম, নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান, কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য হাসান জাবেদ, মাহমুদুল হাসান, সোলাইমান সালমান, সুশান্ত কুমার সাহা, মো. আল-আমিন এবং এসকে রেজা পারভেজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
(ঢাকাটাইমস/১১ফেব্রুয়ারি/কেআর/জেবি)
সংবাদটি শেয়ার করুন
গণমাধ্যম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
গণমাধ্যম এর সর্বশেষ

ঢাকা টাইমস সম্পাদকের আরোগ্য কামনায় দোয়া

সাংবাদিকদের গঠনমূলক সমালোচনাকে সবসময় স্বাগত জানাই: আইজিপি

শেয়ার মার্কেট ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন

মিরর ম্যাগাজিনের ২০২২ বর্ষসেরা রেজওয়ানা এলভিস

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ডিআরইউ’র ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিবহন মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ রুবেলের মায়ের ইন্তেকাল

ইতালির ভেনিসে ঢাকা টাইমসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারে ‘গ্রিন টেলিভিশন’

সাংবাদিক আরিফ সাওনকে হয়রানির নিন্দা ডিআরইউর
