সিলেট বিএনপির সম্মেলন ২৯ মার্চ

অবশেষে সিলেট বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলের দিনক্ষণ ঠিক হলো। আগামী ২৯ মার্চ সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব বাছাই করা হবে। তাই সম্মেলন নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে।
দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলন ও কাউন্সিলে দলের প্রধান অতিথি হিসেবে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিতি থাকবেন। উদ্বোধন করবেন বিএনপির নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর পত্নী তাহসিনা রুশদি লুনা। এছাড়া বিএনপি এবং বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও সিলেট বিভাগের নেতৃবৃন্দ বিশেষ অতিথি হিসেবে আসছেন।
গত ২১ মার্চ এ কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী হঠাৎ করে জেলা সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার পরে আলোচনায় আসেন। কয়েকটি গণমাধ্যমে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের নেতৃত্ব নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এমতাবস্থায় দলের নীতিনির্ধারকেরা ২০ মার্চ সম্মেলন ও কাউন্সিল স্থগিত করে দেন।
এই স্থগিতের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনসহ নানা পদক্ষেপ নেওয় হয়। গণমাধ্যমে বলা হয়, ভোটার তালিকার বিষয়ে অভিযোগ থাকায় কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু সোমবার রাতেই সিলেট বিএনপির নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বৈঠক এবং কয়েক ঘণ্টা পর সংবাদ সম্মেলন করে সভাপতি পদের প্রার্থীতা থেকে সিটি মেয়র আরিফুর হক চৌধুরীর সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে সভাপতি পদ থেকে সরে যাচ্ছেন তিনি।
সিলেট জেলা বিএনপির কাউন্সিলে তিন পদে লড়বেন নয়জন। প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আব্দুল গফফারের সভাপতিত্বে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ, শাহ জামাল নুরুল হুদা, মঈনুল হক চৌধুরী ও সামিয়া চৌধুরী।
সভায় প্রার্থীদের নমিনেশন ফরম ও ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে সভাপতি পদে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও আবুল কাহের চৌধুরী (শামীম), সাধারণ সম্পাদক পদে আ. ফ. ম কামাল, আলী আহমদ, অ্যাডভোকেট ইমরান আহমদ চৌধুরী ও মো. আব্দুল মান্নান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট এম মুজিবুর রহমান মুজিব, লোকমান আহমদ ও মো. শামিম আহমদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
জেলার ১৮টি ইউনিটের ১ হাজার ৮১৮ জন কাউন্সিলর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এবছর নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।
ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/ইএস

মন্তব্য করুন