দেশের সর্ববৃহৎ ইতিকাফের আসর হয় যেখানে

এম ওমর ফারুক আজাদ
চট্ট্রগ্রাম
| আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২২, ১৬:২৫ | প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০২২, ১৪:৩১

পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম ইতিকাফ। রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফের অসংখ্য ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে।

শেষ দশদিন ইতিকাফের অন্যতম উদ্দেশ্য হাজার রজনী থেকে শ্রেষ্ঠ পবিত্র লাইলাতুল কদরের সন্ধান।

রাসুল (সা.) শেষ দশদিনের যে কোনো বেজোড় রাতে কদর রজনী খুঁজতে বলেছেন। তাই আল্লাহপ্রেমী মুমিনরা বিশ রমজানের দিন ইফতারির আগে মসজিদে ওঠেন ইতিকাফ পালনের উদ্দেশ্যে।

সবচেয়ে ফজিলতপুর্ণ ইতিকাফ হচ্ছে বায়তুল্লাহ শরিফে, তারপর মসজিদে নববীতে। যারা এই দুই পবিত্র হারামাইনে ইতিকাফের সৌভাগ্য লাভ করতে পারেন না তারা ছুটে যান আল্লাহ ওয়ালাদের সান্নিধ্যে।

বাংলাদেশেও এরকম অনেক বড় বড় ইতিকাফের আসর হয়ে থাকে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর জামিয়া ওবায়দিয়া মাদরাসা মসজিদের ইতিকাফ দেশের সর্ববৃহৎ ইতিকাফের আসর। এখানে প্রতিবছর দুই থেকে তিনি হাজার মুসল্লি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন। জামিয়া ওবায়দিয়ায় এ ধারা চালু করেছিলেন পটিয়ার মুফতি আজিজুল হক (রহ.)-এর খলিফা সুলতানুল আরেফিন, এরপর মাওলানা সুলতান আহমদ নানুপুরী (রহ.), এরপর মাওলানা জমির উদ্দীন নানুপুরী (রহ.)। তার মৃত্যুর পর এটি পরিচালনা করছেন বর্তমান পীর মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী।

এতে দেশের প্রায় সব জেলা থেকে নানুপুরী পীর সাহেবের ভক্ত আশেকানসহ অনেক আলেম ওলামা অংশগ্রহণ করে থাকেন।

প্রয়াত মুরুব্বিদের রেখে যাওয়া রীতি অনুযায়ী নানুপুরী পীর মাওলানা সালাহ উদ্দীন ইসলাহি বয়ানের পাশাপাশি দৈনন্দিন কর্মসূচি ও আমল ঠিক করে দিয়েছেন। দৈনন্দিন আমলের মধ্যে রয়েছে ইসলাহি বয়ান, জিকির, ক্বিরাত অনুশীলন, সুন্নত ও বুনিয়াদি ইসলামি শিক্ষা ইত্যাদি।

রুটিন অনুযায়ী এতেকাফকারীরা রাত ২টায় উঠে তাহাজ্জুদ আদায় করেন। এরপর সাহরি খেয়ে জামিয়ার জামে মসজিদে হালকায়ে জিকিরে অংশগ্রহণ করেন। এতে জিকির পরিচালনা করে থাকেন জামিয়ার সিনিয়র শিক্ষক ও পীর সাহেবের খলিফা মুফতি শওকত বিন হানিফ ।

সকাল ৮টায় ঘুম থেকে উঠে ইশরাকের সালাত, সুরা ইয়াসিনসহ তিন পারা কুরআন মাজিদ তিলাওয়াত করার পর সাড়ে ১১টায় সুন্নতের বিশেষ বয়ান হয়। ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলে ক্বিরাত মশক ও মাসনুন দোয়া এবং বুনিয়াদি ইসলামি শিক্ষার অনুশীলন।

জোহরের পর ৩টা পর্যন্ত ইসলাহি বয়ান ও কুরআন তিলাওয়াত। আসরের পর আবারো ইসলাহি বয়ানের পর মুনাজাত ও ইফতারির প্রস্তুতি।মাগরিবের পর আওয়াবিন এর সালাত।

ইসলাহি বয়ানগুলো করে থাকেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত এতেকাফকারী আলেম ওলামারা।

এছাড়াও নানুপুরী পীর সাহেব মাওলানা সালাহ উদ্দীন সুন্নত ও মারেফতের ওপর ভক্ত-আশেকান এবং আলেম ওলামাদের উদ্দেশে বয়ান দিয়ে থাকেন।

(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :