জাতীয় কবির জন্মদিন উপলক্ষে ডাকটিকিট ও সীলমোহর প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ মে ২০২২, ১৫:৫২

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনার সুবর্ণ জয়ন্ত্রী। ১৯৭২ সালের এদিনে কবির ৭৩তম জন্ম দিনের এক দিন আগে সকল নুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনেন।

এ উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড ও একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার মঙ্গলবার কবির স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটা কার্ড ও বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেন।

মন্ত্রী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনার সুবর্ণ জয়ন্ত্রীর তাৎপর্য তুলে ধরে এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলা ও বাঙালির সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের প্রশ্নে যে দুটি মহাপ্রাণের নাম অপরিহার্যভাবে চলে আসে, তারা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কাজী নজরুল ইসলাম। কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিদ্রোহী কবি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ‘রাজনীতির কবি’। দুজনই স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, একজন বাংলাদেশের অন‌্যজন ভারতবর্ষের। একজন গণমানুষের কথা কবিতা আকারে বলে কারাবরণ করেছেন, আরেকজন কারাবরণ করেছেন গণমানুষের জন্য লড়াই করে। একজন মহান নেতা অন‌্যজন মহান কবি। দুজনই অগ্নিঝরা কথা বলেছেন, গানে-ভাষণে। জাতি-ধর্ম ভেদাভেদের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলেন এই দুই মহান নেতা। বিদ্রোহী কবি উচ্চারণ করেন ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান/মুসলিম তার নয়ন-মণি হিন্দু তাহার প্রাণ বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘বাঙালি-অবাঙালি হিন্দু-মুসলমান সবাই আমাদের ভাই, তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের’।”

বিবৃতিতে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশের জাতীয় কবি ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবির ৭৩তম জন্মদিনের একদিন আগে ঢাকায় পৌঁছান, যেটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে উদ্যপনের জন্য নির্ধারিত ছিল। বঙ্গবন্ধু স্বয়ং কবির জন্য একটি বাংলো বাড়ী পছন্দ করে দেন এবং বাড়ীটির নামকরণ করেন ‘কবিভবন’। কবি ধানমন্ডির বাস ভবনে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু কবিকে সম্মান জানানোর জন্য ধানমন্ডির কবিভবনে আসেন। পরে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জাতীয় কবিকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয় এবং তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর জন্য ‘কবি ভবনে’ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।’’

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু নজরুলের ‘চল চল চল’ রণসঙ্গীত হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সেলিমা সুলতানা, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত বইমেলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে নজরুলের আগমন শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪মে/জেএ/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :