পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা কতটা মজবুত!

উদ্বোধনের পরদিন পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর সেতুতে বেশ কিছু নেতিবাচক ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনার ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
রবিবার ছড়িয়ে পড়া ও ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলছেন এবং আরেক ছবিতে দেখা যায় এক যুবক প্রস্রাব করছেন। অনেকে সেতুতে ওঠার পর টিকটক, সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসব কর্মকাণ্ডে প্রশ্ন উঠেছে, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা কতটুকু?
এদিকে পদ্মা সেতুকে ঘিরে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া থাকলেও উদ্বোধনের পর উচ্ছ্বাসে ভেসে যায় সব বিধি-নিষেধ। সেই বিধি-নিষেধ মনে করিয়ে দিতে সেতুকে ঘিরে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে সেতু কর্তৃপক্ষ।
রবিবার জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১. পদ্মা সেতুর উপর অনুমোদিত গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা। ২. পদ্মা সেতুর উপর যে কোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা/হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ। ৩. তিন চাকা বিশিষ্ট যানবাহন (রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা ইত্যাদি), পায়ে হেঁটে, সাইকেল বা নন-মটোরাইজড গাড়ি যোগে সেতু পারাপার হওয়া যাবে না। ৪. গাড়ির বড়ির চেয়ে বেশি চওড়া এবং ৫.৭ মিটার উচ্চতার চেয়ে বেশি উচ্চতার মালামালসহ যানবাহন সেতুর উপর দিয়ে পারাপার করা যাবে না। ৫. সেতুর উপরে কোনো ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, সেতুর টোল দিয়ে যতগুলো গাড়ি যাচ্ছে, কোনো না কোনো জায়গায় গিয়ে গাড়ি দাঁড়াচ্ছে। বিকৃত মানুষকতার কাজ করছে। সেতু আবেগের হলেও সেখানে নাট খোলা কিংবা প্রস্রাব করা তো ঠিক না। এসব কর্মকাণ্ডে আমাদের জাতিগত ভাবে নেগেটিভ মেসেজ যাচ্ছে। সেলফি তুলছে আমরা বলে বলে সেটা বন্ধ করছি। পুলিশ বসে নেই। প্রতিনিয়ত কাজ করছি, যাতে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
জানতে চাইলে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার এস. এম. আশরাফুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের উৎসবের জায়গা বা প্রাণস্পন্দের জায়গা ছিল। সরকার প্রথম দিক থেকে...ছিল। তবে বেশ কয়েকটি ঘটনার পর আমরা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। এসব বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি নিজে মাঠে থেকে পেট্রোলিং করছি। সেতু চালুর পর আজ (রবিবার) প্রথম দিন গেল। কাল থেকে (সোমবার) এ ধরণের ঘটনা ঘটবে না। কারণ আবেগের জায়গায় দুষ্টুচক্র প্রসাব বা নাটবল্টু খুলে ফেলবে এটা তো হতে পারে না। এসব কাজের প্রশয় দেওয়া হবে না। আমাদের চারটি পেট্রোল টিম সেতুর উপরে কাজ করছে।’
টোল ছাড়ায় সেতুর নিরাপত্তা পুলিশের পেট্রোল টিম কাজ করছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, বর্তমানে টানাপোড়নের যে জায়গা চলছে, এই হিসেবে আমরা টোল ছাড়াই সেতুতে ডিউটি করছি। আমাদের টহল গাড়ি যাতে সেতুতে ডিউটি করতে পারে এজন্য সেতুবিভাগ থেকে অনুমতি নিয়েছি। সেতুর নিরাপত্তায় সেতু সচিব এই অনুমতি দিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, সেতু বিভাগ নাটগুলো আরো টাইট করুক যাতে ম্যানুয়ালি হাত দিয়ে খুলে ফেলা না যায়। আগে হিরোইন সেবিরা এসব নাট বল্টু খুলত কিন্তু এখন সভ্য লোকেরা এসব করছে। এসব হলে তো পুলিশের কিছু করার নেই। কারণ এতোবড় সেতু, যেখানে তিনটা জেলা পুলিশের কাজ করতে হয়। আবার ব্রিজে রয়েছে টোল সিস্টেম, চাইলেই তো পুলিশ সেতুতে গাড়ি নিয়ে টহল দিতে পারে না। যদিও রবিবার জরুরি মুহুর্ত হওয়ায় টোল ছাড়া সেতুতে ডিউটি করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/এসএস/কেএম)
সংবাদটি শেয়ার করুন
বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট হোতা আমিন গ্রেপ্তার! নাকি নজরদারিতে?

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

সংসার চালানো দায়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজ শেষ না করেই পালিয়েছে ঠিকাদার

৪৫ বছর ধরে শরীরে কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন ভাই-বোন

মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি বাড়বে দারিদ্র্য

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর চিন্তা

জীবনযাত্রায় বাড়ল চাপ

সীমান্ত দিয়ে সত্যিই কি জ্বালানি তেল পাচার হয়?
