পঞ্চগড় ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে ছিঁচকে চোরের আত্মহত্যার অভিযোগ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট ২০২২, ১৫:০৬

পঞ্চগড় ইউনিয়ন পরিষদে রাখা মো. সুজন (২৫) নামে মাদকাসক্ত এক ছিঁচকে চোর আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে উপজেলা সদরের ৩ নং পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদের একটি রুমে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. সুজন। তিনি পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া এলাকার মৃত কছিম উদ্দীনের ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও ইউপি কার্যালয় সূত্র জানায়, সুজন একজন মাদকাসক্ত ও ছিঁচতে চোর। তিনি একাধিকবার ছোটখাট চুরি করতে গিয়ে ধরাও পরেছেন। বুধবার রাতে স্থানীয় একটি মসজিদের ব্যাটারি চুরির অভিযোগে স্থানীয় লোকজনসহ ইউপি চেয়ারম্যান আল ইমরান খান তাকে আটক করে। এ সময় তিনি জাহেদুল হকসহ মসজিদের ব্যাটারি চুরি করেছেন বলে স্বীকার করেন এবং সকালে চুরি করা ব্যাটারি উদ্ধার করে দিবেন বলেও জানান। পরে রাত ২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ দিয়ে জাহেদুলকেও আটক করে ইউনিয়ন পরিষদের পৃথক দুইটি কক্ষে দুজনকে রাখা হয়। তাদের পাহারায় ইউপি কার্যালয়ের দফাদার জামিরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সকালে দফাদার জামিরুল তাদের জন্য নাস্তা নিয়ে এসে ডাকতে গেলে একটি ঘরে সুজনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

নিহত সুজনের শ্বশুর মো. চাঁন মিয়া বলেন, আমার জামাতার বাবা নেই। আমরাই তার অভিভাবক। কিভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে এখনো বলতে পারছি না। সকাল থেকে মরদেহ নিয়ে ছুটোছুটি করছি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ নিয়ে দাফন করা হবে। মামলা বা অভিযোগের বিষয়ের এখনও কোন চিন্তা করিনি। আমার ছোটভাই আছে তার সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল ইমরান খান বলেন, রাতে আটকের পর তারা মসজিদের চুরি হওয়া ব্যাটারি সকালে উদ্ধার করে দিতে চেয়েছিলেন। তারা মসজিদের লোকজনের কাছে ক্ষমাও চান এবং স্থানীয়রা তাদের মাফ করে দেন। এছাড়া নিহত সুজন আমার নিকটতম প্রতিবেশি এবং আমার জমিতেই সে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। চুরি এবং মাদকের বিষয় তাকে একাধিকবার ধরে বুঝিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। সকালে ব্যাটারি উদ্ধার শেষে শালিশ বৈঠকের পর তাদের পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। মূলত চুরি হওয়া ব্যাটারি সকালে উদ্ধারের জন্যই তাদের রাতে আটকে রাখা হয়। কিন্তু রাতেই তার কাছে থাকা গামছা সে আত্মহত্যা করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের ওই ঘরের সামনে মাদক গ্রহণের একটি সিরিঞ্জ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত আরেক ছিঁচকে চোরকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। যদি কোন অভিযোগ থাকে সেক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :