জি-৭ জোটের দেশগুলোর কাছে তেল বিক্রি না করার হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ব্যয় ঠেকাতে রাশিয়ার তেলের মূল্য নির্ধারণে একমত হয়েছে জি-৭ ভুক্ত জোট। আর তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হলে সেসব দেশগুলোর কাছে তেল বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি আর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধ করতে দেশটির তেলের দাম বেঁধে দিতে একমত হয়েছে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো।

শক্তিশালী অর্থনীতির জি-৭ জোটের দেশগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও যুক্তরাজ্য। দেশগুলো বিশ্বে বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

তেল রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় হ্রাস করাই জি-৭ জোটভুক্ত দেশগুলোর লক্ষ্য। গত কয়েক মাস ধরে রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা বেঁধে দিতে জি-৭ জোটের দেশগুলোকে চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর রাশিয়ার তেল ক্রয়ের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর হলে রাশিয়ার তেল রপ্তানি ৯০ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে ধারণা ইইউয়ের।

এছাড়া, রাশিয়ার তেলের মূল্য নির্ধারিত করে দিলে বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী হবে।

কিন্তু শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, যেসব কোম্পানি মূল্যসীমা আরোপ করবে তারা আর রাশিয়ার তেল পাবে না। বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন নীতিতে আমরা তাদের সঙ্গে আর সহযোগিতা করব না।

এক বিবৃতিতে জি-৭ জোট জানায়, তারা ইউক্রেনের সংকট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত দেশটির পাশে থাকবে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে মস্কোর উপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলো। এসব নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়ার বহু রপ্তানিযোগ্য পণ্য রয়েছে। কিন্তু তেল বিক্রির কারণে রাশিয়ার অর্থনীতিতে মারাত্মক কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং তেল বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছে রাশিয়া।

বিশ্লেষকদের মতে, জি-৭ জোটের নতুন এ সিদ্ধান্ত ভারত ও চীন সমর্থন নাও করতে পারে। কারণ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে ছিল ভারত ও চীন।

(ঢাকাটাইমস/৩সেপ্টেম্বর/আরআর)