তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে প্রাণহানি ২৩০০ ছাড়াল

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি প্রদেশে এবং প্রতিবেশী সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা যৌথভাবে ২ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। এখনো অসংখ্য মানুষ ধসে যাওয়া শত শত ভবনের নিচে চাপা পড়ে থাকায় মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রেসিডেন্সি (এএফএডি) জানিয়েছে, ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানে এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়। এর ১২ ঘণ্টার পার হওয়ার আগে আরও একটি ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে সব শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী তুরস্কের সীমান্তের মধ্যে ১৫০০ জন এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায় ৮০০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে।
ভূমিকম্পের ফলে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। একেকটা ভবন পরিণত হয়েছে লাশের স্তূপে। উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে বেশ কয়টি দেশ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পর চীনও তুরস্কে সহায়তা পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে। সাহায্য পাঠাতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছে ইরানও।
১৯৩৯ সালের এরজিনকান ভূমিকম্পের পর ভূমিকম্পটিকে তুরস্কের ‘সবচেয়ে বড় বিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এরদোগান।
এএফএডি এক বিবৃতিতে বলেছে, ভূমিকম্পের পর ৭৮টি আফটারশক হয়েছে।
গাজিয়ানটেপ, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির, আদানা, আদিয়ামান, মালত্য, ওসমানিয়ে, হাতায় এবং কিলিস প্রদেশগুলি ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অনুসারে রাষ্ট্রপতি আদানা, ওসমানিয়ে, হাতায় এবং কিলিসের মেয়রদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য পেয়েছেন।
এরদোগান বলেন, ধসে পড়া ভবনের সংখ্যা ২ হাজার ৮১৮টি।