দিনাজপুরে ক্যানসার আক্রান্ত এক ইমামের বাঁচার আকুতি

‘আত্মহত্যা যদি নিকৃষ্ট পাপ না হতো তবে এতদিনে আমি আত্মহত্যা করতাম। কারণ এই চোয়ালের প্রচণ্ড ব্যথা আর সহ্য করতে পারছি না। আমি এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চাই। আমি বাঁচতে চাই।’
কথাগুলো মো. রহমত উল্ল্যাহ নামের একজন ইমাম ও খতিবের। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরএলাকার স্বজনপুকুর বুন্দিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম তিনি। ছেলেকে বাঁচাতে চিকিৎসা দায়িত্ব বা আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছেন তার বৃদ্ধ বাবা সোবহান আলী।
ইমাম ও খতিব মো. রহমত উল্ল্যাহ ওই এলাকার মুদি দোকানি বৃদ্ধ সোবহান আলীর ছোট ছেলে। মো. রহমত উল্ল্যাহ তিন সন্তানের জনক।
ছেলের চিকিৎসা খরচ মেটাতে গিয়ে জায়গা জমি বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বৃদ্ধ পিতা সোবহান আলী। বয়সের ভারের সঙ্গে যোগ হয়েছে ধারদেনাসহ ঋণের বোঝাও। এ অবস্থায় দেশবাসীর কাছে ছেলের প্রাণ বাঁচাতে সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
জানা যায়, মো. রহমত উল্ল্যাহর বাম চোয়ালের দাঁতে ছোট্ট সমস্যা দেখা দেয়। যা থেকে প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগতেন রহমত উল্ল্যাহ। ডাক্তারের পরমর্শ নিয়ে সেই দাঁতটি তুলে ফেলেন। তবুও ব্যথা কমেনি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৩ বছর আগে ঢাকায় চিকিৎসা শুরু করান। বর্তমানে ইমাম ও খতিব মো. রহমত উল্ল্যাহ ঢাকা মোহাম্মদপুরের সোরোয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে ১০৫নং ওয়ার্ডের ৪৫নং বেডে রয়েছেন। সেখানে ৬ বার অপারেশন করতে হয়েছে তাকে। পরে তার চোয়ালে ক্যান্সার ধরা পড়ে।
মৃত্যুযন্ত্রণাদায়ক ব্যথা কমাতে প্রতিদিন তাকে ১ হাজার ৩০০ টাকা মূল্যে তিনটি মোট ৩ হাজার ৯০০ টাকার তিনটি ইনজেকশন দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও আছে হাসপাতালের ওষুধসহ অন্যান্য ব্যয়। এ ব্যয়বহন এখন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে তার পরিবারের সদস্যদের।
চিকিৎসক জানিয়েছে আরো বেশকিছু দিন হাসপাতালে থাকতে হবে রহমত উল্ল্যাহকে। এ জন্য প্রয়োজন আরো অনেক টাকা। যা দিয়ে অপারেশন করা হবে রহমত উল্ল্যাহের।
পিতা সোবহান আলী বলেন, আমার যা ছিল তা দিয়ে এতোদিন ছেলেকে বাঁচানোর প্রাণপন চেষ্টা করেছি। সব শেষ করে আমি এখন সর্বস্বান্ত। আর কোনো উপায় নেই ছেলের চিকিৎসা খরচ বহন করার। বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসা চলছে। যার খরচ দেওয়াও আর সম্ভব হচ্ছে না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে আমার ছেলেকে বাঁচাতে চিকিৎসার দায়িত্ব বা আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি।
ইমাম ও খতিব মো. রহমত উল্ল্যাহের স্ত্রী রুবিনা বেগম জানায়, সংসারের একমাত্র উপাজনশীল ব্যাক্তি তার স্বামী দির্ঘ তিন বছর ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার স্বামীর অসুস্থতায় তিন সন্তান নিয়েসংসার চালাতে এবং তার চিকিৎসা খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সহযোগিতা পাঠাতে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড ফুলবাড়ী শাখা, দিনাজপুর হিসাব নাম-সুফিয়া বেগম, হিসাব নং- ৩৪১৮১১১০০১২২০৫৫ (সঞ্চয়ী) রোগীর বড় বোন সুফিয়া বেগমের অথবা বিকাশ: ০১৮৬০-৮০১৮৮১, নগদ: ০১৭৭৪-০৪৪৪৩৫ (রোগীর নাম্বার) নাম্বারে পাঠানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে ০১৭৭৪-০৪৪৪৩৫, ০১৮৬০-৮০১৮৮১।
(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এআর)

মন্তব্য করুন