ব্যানার টানিয়ে চোরকে যে উপদেশ দিলেন হুমায়ুন আহমেদের মামা

কথায় আছে ‘চোরে নাহি শুনে ধর্মের কাহিনী’। দেশ দুনিয়ার কত সব পরিবর্তন হলো, কিন্তু সমাজে এই প্রবাদের প্রাসঙ্গিকতার পরিবর্তন হলো না। কিংবদন্তি কথা সাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের মামা মো. মাহবুবুন নবী শেখ। তার গ্রামের বাড়িতে গত এক বছরে পাচঁবার চোর ঢুকেছে। তাই ব্যানার টানিয়ে চোরকে কিছু উপদেশ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
মো. মাহবুবুন নবী শেখের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ শেখবাড়ি দৌলতপুরে। এই বাড়িতে কেউ না থাকায় রাতের বেলায় চোর ঢুকে বাড়ির বিভিন্ন জিনিস তছনছ করে গেছে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাহবুবুন নবী। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনকেও এই বিষয়ে মৌখিকভাবে জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি।
তবে যতোবারই চোর তার ঘরে ঢুকেছে কিছু না পেয়ে ঘরের সব জিনিস উলটপালট করে গেছে। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে চোরের উদ্দেশে ব্যানারে লিখেছেন, “চুরির সাথে সম্পৃক্তদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমাদের বাড়ীতে চুরি করার মত মূল্যবান কোন সম্পদ নেই। তাই আমাদের বাড়ীতে চুরির চেষ্টা করা আপনাদের মূল্যবান সময়ের অপচয়। অপরদিকে চুরির পর ঘর গুছানো আমাদের জন্য অনেক কষ্টের কাজ। ভবিষ্যতে চুরির পরিকল্পনায় বিষয়গুলি আমলে নেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ রইল”
ধন্যবাদান্তে, মো.মাহবুবুন নবী শেখ.....।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মো.মাহবুবুন নবী শেখ ঢাকাটাইসমকে বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়িতে এক বছরে পাচঁবার চোর ঢুকেছে চুরি করার জন্য। কিন্তু আমরা গ্রামের বাড়িতে থাকি না। আর বাসায় চোর ঢুকে সবকিছু তছনছ করে যায়। এই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তাদের জানিয়ে কী হবে, চোর ঠেকানোর জন্য প্রায়োজন হলো জনসচেতনতা। মানুষ সচেতন না হলে চুরি ঠেকানো সম্ভব নয়। কারণ প্রশাসন তো আর সবসময় এসে বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকবে না।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহবুবুন নবী বলেন, এসব চোর হলো কিশোর গ্যাং। তাদের অনেক পকেট খরচ দরকার। তার বাবারা যে পরিমাণে টাকা খরচ করে, এর চেয়ে এই কিশোর গ্যাংদের খরচ বেশি। আর এতো টাকা কোথায় পাবে, তাই চুরি করতে আসে। এগুলো ঠেকাতে প্রয়োজন হলো জনসচেতনতা। জনগণ সচেতন হলেই এসব বন্ধ করা যায়।
(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/জেএ/কেএম)

মন্তব্য করুন