আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং ড. এম এ সালাম বনাম বাংলাদেশ সরকার মামলার রায়

মো. আছাদুজ্জামান
| আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩:৪৫ | প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০২৩, ২০:৫০

২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এদিন প্রথম প্রহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক বেতার বার্তার মাধ্যমে এদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ওই বার্তায় তিনি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন, "From today Bangladesh is independent" - অর্থাৎ আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। অবশ্য আনুষ্ঠানিক বা স্পষ্ট ঘোষণা ওইদিন হলেও উহার ১৯ দিন আগে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তারিখে রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণেই তিনি পরোক্ষ ও অনানুষ্ঠানিকভাবে আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন তিনি সমবেত লাখো জনতার সামনে বাঙালি জাতির উদ্দেশে ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তবে ৭ই মার্চের ওই পরোক্ষ ও ২৬শে মার্চের প্রত্যক্ষ ঘোষণা আকস্মিক কিছু ছিল না। এর ছিল এক দীর্ঘ প্রেক্ষাপট। বিষয়টি এমন নয় যে, বঙ্গবন্ধু হঠাৎ করে ১৯৭১ এর ৭ই মার্চ তারিখে আবির্ভূত হয়ে মঞ্চে উঠে এক জ্বালাময়ী ভাষণ দিলেন আর জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো। এর জন্য তাঁকে দীর্ঘকাল এদেশের গণমানুষের কাতারে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে তাদের আস্থা অর্জন করে শেখ মুজিব থেকে 'বঙ্গবন্ধু' হয়ে উঠতে হয়েছিল।

আমাদের স্বাধীনতার বীজ মূলতঃ রোপিত হয়েছিল দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী আমাদের মাতৃভাষার ওপর আঘাত হানার উদ্যোগ গ্রহণকালে এদেশের স্বাধীনচেতা মানুষের প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে আমাদের ভাষা শহীদদের রক্তে ভিজে সে বীজ অঙ্কুরিত হয়। তারপর ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফার আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান ও ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ইত্যাদি ঘটনাবলীর মাধ্যমে সে অঙ্কুর দিনে দিনে ডালপালা গজিয়ে বড় হয়ে ফলবতী হয়ে ওঠে। আমাদের স্বাধীনতার সে বীজের অঙ্কুরোদগম থেকে শুরু করে ফলবতী হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় ও সফল ভূমিকা। আর সে প্রেক্ষাপটেই আসে ১৯৭১ এর ৭ই মার্চ ও ২৬শে মার্চ। বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে এদেশের আপামর জনসাধারনের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ, তাদের মধ্যে ৩০ লাখ মানুষের জীবনহানি ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সক্রিয় সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মেরুকরণ আমাদের অনুকূলে থাকা ইত্যাদি সব মিলিয়ে মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বলতে গেলে ধ্বংসস্তূপের উপর দিয়ে শুরু হয় আমাদের পথচলা। তার উপর যোগ হয় প্রাকৃতিক দুযোগ-বন্যা আর দুর্ভিক্ষ। সে দুর্যোগ কাটিয়ে দেশ আস্তে আস্তে স্থিতিশীল হয়ে সামনে আগাচ্ছিল। ঠিক সে মুহূর্তে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে।

এখানে উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে পাক হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইট নামে রাজধানী ঢাকাসহ এদেশের বিভিন্ন শহরে ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র মানুষের উপর অতর্কিত হামলা করে গণহত্যা চালায়। তৎপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু ঐ রাতে অর্থাৎ ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ওই রাতে পাক হানাদার বাহিনী “দৈনিক ইত্তেফাক', দৈনিক সংবাদ' ও 'The People' পত্রিকার অফিস ভস্মিভূত করে। ফলে ২৫শে মার্চের পরে ওই মাসে বাংলাদেশে কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়নি। তবে ২৭শে মার্চ তারিখে ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত 'The Times' ও 'The Financial Times' নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ‘New York Times ব্যাংকক থেকে প্রকাশিত 'The Bankok Post' ও বোম্বে থেকে প্রকাশিত ‘The Times of India' সহ বিশ্বের দেশ থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকায় বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার সংবাদ গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়। “Heavy Fighting as Shaikh Mujibur declares E Pakistan independent" শিরোনামে, The Times' লেখে "Civil war raged in the eastern region of Pakistan after the provincial leader Sheikh Mujibur Rahman, had proclaimed the region an independent republic". 'The Financial Times' লেখে 'Civil war broke out in East Pakistan yesterday after Sheikh Mujibur Rahman declared an "Independent People's Republic of Bangla Desh". 'New York Times' এ লেখা হয় "Sheikh Mujibur Rahman arrested after a broadcast proclaiming region's independence. 'The Times of India' তে শিরোনাম করা হয়, **Mujib proclaims free Bangladesh."

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ১৯৭৭ সালে ক্ষমতাসীন সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সরকারিভাবে লিপিবদ্ধ ও প্রকাশের উদ্দেশ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ১৯৮২ সালের নভেম্বর মাসে “বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধঃ দলিল-পত্র” শিরোনামে ১৫ খণ্ডে উক্ত ইতিহাস প্রথম প্রকাশ করা হয়। উহার ৩য় খন্ডের প্রথম পৃষ্ঠায় ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তারিখে বঙ্গবন্ধু এদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন মর্মে যথারীতি উল্লেখ করা হয়। কিন্তু উক্তরূপ বাস্তবতা সত্ত্বেও ১৯৮০'র দশকে একটি বিশেষ মহল বঙ্গবন্ধুর স্থলে মেজর জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দাবি উত্থাপন ও প্রচার শুরু করে। এখানে উল্লেখ্য, মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় কখনও উক্তরূপ দাবী উত্থাপন করেন নাই। তাঁর ইন্তেকালের পরে মহল বিশেষ কর্তৃক উক্ত দাবী উত্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে তৎকালিন সরকার উপরে বর্ণিত “বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ দলিল-পত্র” পুনঃমুদ্রণের নামে পুনঃসংস্করণ করে উহার ৩য় খণ্ডের ১ নং পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর স্থলে মেজর জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে লিপিবদ্ধ করে। তদানুসারে স্কুলের পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করে পুনঃসংস্করণ প্রকাশ করা হয়। উক্তরূপ ইতিহাস বিকৃতির প্রেক্ষিতে বিষয়টি অবশেষে কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। জনৈক ড. এম এ সালাম বিষয়টি সম্পর্কে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে ২৫৭৭/২০০৯ নং রিট পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ড. এম এ সালাম বনাম বাংলাদেশ সরকার নামীয় উক্ত রিট মামলায় গত ২১-৬-২০০৯ খ্রি. তারিখে প্রদত্ত রায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশিত ২৭শে মার্চ, ১৯৭১ খ্রি. তারিখের উপরে উল্লিখিত পত্র-পত্রিকা, বর্ণিত সময়ে অর্থাৎ ২৫-২৭শে মার্চ, ১৯৭১ খ্রি. তারিখে, তদানিন্তন মেজর জিয়ার সঙ্গে কর্মরত মেজর মীর শওকত আলী, ক্যাপ্টেন এনামুল হক চৌধুরী, লে. শমসের মুবিন চৌধুরী প্রমুখ সামরিক কর্মকর্তাগণের সাক্ষাৎকার, ২৬শে মার্চ, ১৯৭১ খ্রি. তারিখে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার প্রশ্নে, বিভিন্ন পুস্তকে প্রকাশিত জেনারেল টিক্কা খানের জবাব ১০ই এপ্রিল, ১৯৭২ খ্রি. তারিখে গণপরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও মাননীয় স্পিকারের ভাষণ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংধিানের তফসিলে লিপিবদ্ধ ‘The Proclamation of Independence' সহ আনুসঙ্গিক ডকুমেন্ট ও তথ্যাদি বিশ্লেষণ পূর্বক নিম্ন বর্ণিত সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন:- “আমরা ঐতিহাসিক নই এবং ইতিহাস লিখন আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। তবে উপরে বর্ণিত ঘটনাবলীর আলোকে প্রতীয়মান হয় যে, ১৯৭১ সনের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাত্রে পাকিস্তান সামরিক সরকারের সামরিক অভিযান আরম্ভ হইবার সঙ্গে সঙ্গেই ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অয়্যারলেস, টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন মারফৎ সমগ্র বাংলাদেশে তাহার স্বাধীনতা ঘোষণার বাণী প্রেরণ করেন। গভীর রাত্রে ইহা চট্টগ্রামে গৃহীত হয়। ২৬শে মার্চের প্রত্যুষ হইতে মাইকদ্বারা চট্টগ্রাম শহরে এই ঘোষণা প্রচারিত হইতে থাকে এবং এই ঘোষণার সাইক্লোস্টইলকৃত কপি সর্বত্র বিবরণ করা হইতে থাকে যে শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়াছেন। দুপুর ২-২.৩০ মিনিটের সময় আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামস্থ জেনারেল সেক্রেটারি এম. এ. হান্নান কালুরঘাটের বেতার ট্রান্সমিটার চালু করতঃ সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরিত স্বাধীনতার ঘোষণা নিজের নাম উল্লেখ পূর্বক পাঠ করেন। তবে ইহা একটি অনির্ধারিত অনুষ্ঠান ছিল। ৯ নং প্রতিবাদী বেলাল মোহাম্মদ স্বাধীনতার এই ঘোষণা বেতারে নিয়মিত অনুষ্ঠান হিসাবে প্রচার করিবার প্রয়োজনীয়তা সর্বপ্রথম অনুভব করেন। তিনি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত প্রচার কেন্দ্র হইতে ইহা প্রচার করিতে ব্যর্থ হইয়া তাহার কয়েকজন সহকর্মীর সহায়তায় কালুরঘাটে অবস্থিত বেতার ট্রান্সমিটারটি পুনরায় চালু করেন। অতঃপর, সন্ধ্যা ৭-৪০ মিনিটের সময় নাম প্রকাশ ব্যতিরেকে আবুল কাশেম সন্দীপ অনুষ্ঠান ঘোষণা করেন। ইহা একটি গুপ্ত বেতার কেন্দ্র ছিল বিধায় নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকলেই নাম প্রকাশ ব্যতিরেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা বারবার প্রচার করিতে থাকেন। এই সময় এম এ হান্নান উপস্থিত হন এবং নিজের নাম ঘোষণ ব্যতিরেকেই শেখ মুজিবের ঘোষণার আলোকে লিখিত বক্তব্য প্রচার করেন। প্রতীয়মান হয় যে, সেইদিন সন্ধ্যায় উক্ত বেতার কেন্দ্রে উপস্থিত প্রায় সকলেই বেতারে বক্তব্য রাখেন।

বেতার কেন্দ্রে কর্মীগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছিলেন এই কারণে বেলাল মোহাম্মদ পরদিন ২৭শে মার্চ তারিখে পটিয়া থানায় গমন করতঃ মেজর জিয়াউর রহমানকে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে লইয়া আসেন। সন্ধ্যায় তাহার প্রস্তাব অনুসারে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে একটি ঘোষণা পাঠ করেন (১৯৮২ সনের দলিলপত্রঃ তৃতীয় খণ্ড, পৃঃ২)।

২৫-২৭ শে মার্চ সময়ে যে সমস্ত সামরিক অফিসার মেজর জিয়াউর রহমানের সহিত কর্মরত ছিলেন তাহাদের মধ্যে তদানিন্তন মেজর মীর শওকত আলী, ক্যাপ্টেন এনামুল হক চৌধূরী, লেঃ শমসের মুবিন চৌধূরী প্রমুখ সাক্ষাৎকার প্রদান করিয়াছিলেন (দলিলপত্রঃ নবম খণ্ড)। কিন্তু তাহারা কেহই মেজর জিয়াউর রহমান যে ২৭শে মার্চ বা ২৬শে মার্চ তারিখে নিজেকে 'Provisional President and Commander-in- Chief দাবী করিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়াছিলেন তাহা তাহাদের সাক্ষাৎকারে বলেন নাই। এমনকি জিয়াউর রহমান তাহার জীবদ্দশায় কখনও এইরূপ করেন নাই।”

উক্ত রায়ের আদেশাংশে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ও তিনিই প্রথম এদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন মর্মে উক্ত দলিল-পত্রের ৩য় খণ্ডের ২০০৪ সালে পুনঃমুদ্রণের ১ম পৃষ্ঠার বর্ণনা The Proclamation of Independence' এর পরিপন্থী তথা সংবিধান পরিপন্থী বিধায় অবৈধ ঘোষণা করেন এবং উক্ত খণ্ডসহ একইরূপ বক্তব্য যে সব বই-পত্রে মুদ্রিত বা বিবৃত হয়েছে তা অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করবার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে নির্দেশ প্রদান করেন। পাশাপাশি উক্ত বিষয়ে সর্ব প্রকার বিকৃতি দূর করে সঠিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করবার পদক্ষেপ গ্রহণ করতেও সরকারকে নির্দেশ প্রদান করেন।

উক্ত নির্দেশ মোতাবেক সরকার ২০০৯ সালে উক্ত দলিল-পত্র সংশোধন করে পুনঃমুদ্রণ করেছে। উক্তরূপে আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা সম্পর্কে সৃষ্ট বিতর্কের অবসান ঘটেছে এবং উহার মাধ্যমে মিথ্যা পরাভূত হয়েছে ও সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তথ্য সূত্রঃ

১। বি এল টি বিশেষ সংখ্যা- ২০১০

২। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

৩। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিল-পত্র (৩য় ও ৯ম খন্ড)

৪। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐহিতাহসিক ভাষণের টেপ রেকর্ড

লেখক: মহানগর দায়রা জজ, ঢাকা

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :