মুন্সীগঞ্জে যুবককে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ নেতার মারধর, ভিডিও ভাইরাল

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৮:৪৮ | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৮:৪৫

মুন্সীগঞ্জে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ নেতার বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন রহমতুল্লাহ সজল নামে এক যুবক। জেলা নির্বাচন অফিসে জনসম্মুখে ঘটে এমন ঘটনা। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর হোসাইন সরকারি হরগঙ্গা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে ১৯ মার্চের এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ভুক্তভোগীর দাবি, অনিয়মের প্রতিবাদ করায় মারধরের শিকার হয়েছেন তিনি।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কক্ষের সামনে মানুষের সারি, নিয়ম মেনেই সবাই একএক করে নিজ নিজ বিষয় নিয়ে প্রবেশ করছিল। আলমগীর হোসাইন লাইন না মেনে কক্ষে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বিষয়টিতে প্রতিবাদ জানিয়ে নিয়ম মানার জন্য বলতে শোনা যায় সজলকে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আলমগীর, ‘সাইডে আসেন, আমারে চিনেন’ বলে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে দুজন। একপর্যায় মারধর শুরু করেন আলমগীর। এসময় কয়েকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগীকে টেনে-হিঁচড়ে কার্যালয়ের বাইরে নিয়ে যায় আলমগীর ও তার সহযোগীরা। তবে তার সহযোগীদের নাম জানা যায়নি।

ভুক্তভোগী সজল জানান, আমার বাবার আইডি কার্ডের নামে ভুল থাকায় সংশোধনীর আবেদনের জন্য নির্বাচন অফিসে যাই। সবাই নিয়ম মেনে লাইন ধরে কর্মকর্তার সাথে দেখা করছিল। ওই লোক হঠাৎ করে এসেই আগে ঢুকতে চাইলে আমি প্রতিবাদ করি। এরপরই আমাকে মারধর করে, ভিডিওতে তো আপনি দেখেছেনই। একটি সরকারি অফিসে যদি এমন সন্ত্রাসী হয়, তাহলে আমরা যাব কোথায়।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর আমি জিডি করতে থানায় যাই, মারধরকারীর পরিচয় বলতে না পারায় থানার লোক আমার জিডি নেইনি। এসআই ফরিদ ছিলেন, তিনি ভিডিওটি রেখে বলেন খোঁজ নিয়ে জানাবেন। কিন্তু পরে আর যোগযোগ করেননি।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর বলেন, আমি লাইনে আগেই ছিলাম, একটু বাইরে গিয়ে ফিরে এসেছিলাম। তখন এক মিনিটের জন্য ছোট একটি বিষয়ে কথা বলার জন্য যাচ্ছিলাম। ওই ছেলে লাইনে ছিল না, হেলমেটপরা ছিল। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এই বিষয়টি নির্বাচন অফিসার ডেকে মীমাংসা করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সদর থানার উপ-পরিদর্শক ফরিদ জানান, ওই যুবক থানায় এসেছিল। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার নাম পরিচয় বলতে না পারায় অভিযোগ নেওয়া হয়নি। তার কাছ থেকে ছবি নিয়ে পরিচয় রাখা হয়েছে, পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পরিচয় শনাক্ত সাপেক্ষে অভিযোগ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :