চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ মার্চ ২০২৩, ২০:৪০

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা জামিনের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসর্ম্পণ করলে তাদের সকলকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার।

জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন- রফিকুল ইসলাম তনু, মো. মোকারেম হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির, আব্দুল হাশেম, মো. আব্দুর রহিম, মো. মন্টু মিয়া, মো. আবু সাঈদ বিশ্বাস, মো. ইউসুফ আলী, আব্দুল ওয়াহেদ, মো. মাসুদ রানা, মো. সুমন, মো. রফিক, মো. ওসমান গনি, মো. সামসুল আলম, ইদ্রিস আলী, মো. রহুল আমিন ও মো. কুতুব উদ্দিন।

জামিন নামঞ্জুর হওয়া সকলেই দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এর মধ্যে মনিরুজ্জামান মনির দামুড়হুদা থানা বিএনপির সভাপতি ও রফিকুল ইসলাম তনু দামুড়হুদা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। অন্যরা দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. বেলাল হোসেন জানান, মহামান্য হাইকোর্টের ক্রিমিনাল মিস-১৪৪৯৮/২০২৩ নম্বর মামলার ০৬.০৩.২৩ তারিখের আদেশে ৬ সপ্তাহের মধ্যে মামলার আসামিগণকে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আসামিরা চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মঙ্গলবার আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার আসামি ও সরকার পক্ষের বক্তব্য শুনে আত্মসমর্পণ করা সকল আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে পিপি আরো জানান, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে দামুড়হুদার দশমি গ্রামের ফুটবল মাঠের কাছে কয়েকজন দুস্কৃতিকারি সরকারি বিরোধী কাজের জন্য একত্রিত হয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। রাত ১০টার দিকে পুলিশ ফুটবল মাঠের কাছে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ২৫/৩০ জন সমবেত হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৭টি বোমাসদৃশ্য বস্তু ও ১৫টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করেছিল। আটক করা ৫ আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ২২ জনের নাম ঠিকানা উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জনকে আসামি করে ঘটনার পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি দামুড়হুদা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে।

এ সময় পাবলিক প্রসিকিউর অ্যাড. বেলাল হোসেন বলেন, ওই মামলায় ১৭ জন আসামি মহামান্য হাইকোর্টেও নির্দেশে মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের জামিন নামঞ্জুর করে সকলকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এমএম শাহজাহান মুকুল।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :