ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৫ কিলোমিটার যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫:৫৪ | প্রকাশিত : ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৩:২৮

নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ১৫ কিলোমিটার অংশ জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে মহাসড়কের মদনপুর আগে থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত সড়ক জুড়ে যানজট রয়েছে। এতে যাত্রীরা তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী স্নানোৎসব উপলক্ষে লাখ লাখ মানুষ ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে জড়ো হয়েছেন। এতে মঙ্গলবার রাত থেকে সহাসড়ক সহ আশোপাশে এলাকার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের তীব্রতায় বিরক্ত হয়ে যাত্রীরা পায়ে হেঁটে পথ পাড়ি দিচ্ছেন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম মুখ লেনে তীব্র যানজট রয়েছে। আর মদনপুর থেকে সাইনবোর্ড এলাকা পর্যন্ত যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। তবে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখি লেনে কোথাও যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে আবার কোথাও ফাঁকা রয়েছে।

তীব্র যানজটের ফলে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরীজীবী আবু জাফর মিয়া। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে মহাসড়কে তীব্র যানজট রয়েছে। মদনপুর এলাকা থেকে বাসে করে মেঘনা ব্রিজ পার হতে চেয়েছি। সেখানে একটি কাপড়ের দোকানে আমি কাজ করি। কিন্তু তীব্র যানজটের ফলে এক ঘণ্টায় আধা কিলোমিটার এগোতে পারিনি। এ কারণে বাস ছেড়ে পায়ে হেঁটে রওনা করেছি। সামনে যানজট কম দেখলে অন্য কোন যানবাহনে চলে গন্তব্যে পৌঁছাব। নতুবা পায়ে হেঁটে পুরো পথ পাড়ি দিতে হবে।

সিএনজি চালিত অটোরিকশায় বসে গরমের মধ্যে পত্রিকা হাতে বাতাস করছেন জামাল মিয়া।

তিনি বলেন, প্রতি বছর স্লান উৎসবের সময়ে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে। কর্মস্থলে যেতে হলে মহাসড়কে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। ফলে যানজটের ভোগান্তি সহ্য করেই যেতে হচ্ছে।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালামাল নিয়ে কুমিল্লা জেলায় ট্রাক চালিয়ে যাচ্ছেন চালক রাশেদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে যানজটের মধ্যে বসে আছি। গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে বসে আছি। মাঝে মধ্যে সামনের গাড়ি কিছুটা এগোলে গাড়ির স্টার্ট অন করি। এভাবে সকাল থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে কাঁচপুর এলাকায় বসে আছি। কখন যানজট শেষ হবে কে জানে?

স্থানীয় সূত্র বলছে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ব্যাপক হারে বেড়েছে। আর মদনপুর সহ মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে জনজনের পদচারণা বেড়েছে। যেকারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. ইব্রাহীম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মদনপুর থেকে কাঁচপুর হয়ে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট রয়েছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের স্নান উৎসবকে ঘিরে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছে। মূলত সে কারণে মঙ্গলবার রাত থেকে মহাসড়কের যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছর এই দিনে যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত টিম কাজ করছে। এই উৎসব সম্পন্ন হলে যানজট ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :