ফারইস্টের সাবেক চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:১৭

১১৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ খালেক, তার স্ত্রী সাবিহা খালেক, ছেলে শাহরিয়ার খালেদ রুশো, মেয়ে শারওয়াত খালেদ ও তার স্বামী তানভিরুল হকসহ ১৭ জনের মানিলন্ডারিং আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

তদন্ত সংস্থাটি জানায়, অর্থ আত্মসাতের পাশাপাশি স্বজন-সহযোগীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ৫৮৫ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ান এমএ খালেক। আদালতের নির্দেশে ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেডের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় সিআইডির অনুসন্ধানে এসব অনিয়ম এবং অর্থ আত্মসাতের তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য জানান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ খালেক, সাবেক সিইও তরফদার জাহাঙ্গীর আলম, মো. জাহিদুল হক, সাবেক সিএফ ও এম এ খালেকের স্ত্রী সাবিহা খালেক, খালেকের ছেলে শাহরিয়ার খালেদ রুশো, খালেকের মেয়ে মিস. শারওয়াত খালেদ, খালেকের মেয়ের জামাতা তানভিরুল হক, খালেকের মেয়ের শশুর মো. ফজলুল হক, আবুল কাশেম মোল্লা, রাশেদ মোহাম্মদ মাজহারুল, খশরুবা সুলতানা শিল্পি, শেখ ইউসুফ আলী, মাহবুবা সুলতানা, মিসেস দিলরুবা সুলতানা, সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মোস্তফা ও কাজী শাহরিয়ার।

জানা গেছে, কোনো রকম অর্থ পরিশোধ না করেই খালেকের পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদের বিও অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা দেখানো হতো। খালেকের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এভাবে কোটি কোটি টাকা জমা করতেন। এরপর সেই টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিতেন। আত্মসাতের অর্থে খালেকের পরিবার কানাডায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন। তার স্ত্রী-সন্তানরাও কানাডায় পালিয়েছেন।

সিআইডি জানায়, স্বজন ছাড়াও খালেক তার সহযোগীদের বিও অ্যাকাউন্টে ফেক ডিপোজিট দেখিয়ে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। এই আত্মসাতের টাকার একটি অংশ সহযোগীদের তিনি ভাগ করে দিতেন। খালেকসহ এই অপকর্মে জড়িত ১৭ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করে সিআইডি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি তরফদার জাহাঙ্গীর আলম ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটি লি. কোম্পানিতে হেড অব অপারেশন ও জাকির হোসেন ভূইয়া একই কোম্পানিতে হেড অব মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডসের কার্যক্রম শুরুতেই তরফদার জাহাঙ্গীর আলমকে প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং জাকির হোসেনকে এভিপি পদে নিয়োগ দেয়। প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের শুরুতেই ২০১০ ও ২০১১ সালে তরফদার জাহাঙ্গীর আলম জাকির হোসেনসহ অন্য আসামিরা ১১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকার চেক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নিয়ে কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে জমা না করে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া জমার বিপরীতে মার্জিন রুল ব্যত্যয়পূর্বক লোন প্রদান করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়।

সিআইডি জানিয়েছে, লুটপাটের টাকায় ঢাকার গুলশানের বারিধারায় গড়ে তোলা খালেকের ১৫০ কোটি টাকা মূল্যের চারতলা আলিশান বাড়ি সম্প্রতি ক্রোক করা হয়েছে। বাড়িটি গুলশানের বারিধারা আবাসিক এলাকার কে-ব্লকের ৬ নম্বর রোডের ২ নম্বরে। গুলশান সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বাড়িটির দলিল নম্বর ৬২১। ৮ শতাংশ ৮ ছটাকের ওপর ৪তলা আলিশান বাড়িটি ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি কেনেন এমএ খালেক। বাড়িটির দলিল মূল্য ছিল ৬৫ কোটি টাকা। তবে পুলিশ বলছে, বর্তমান বাড়িটির মূল্য অন্তত ১৫০ কোটি টাকা।

(ঢাকাটাইমস/০৫এপ্রিল/এসএস/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :