টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতার ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা, থানায় মামলা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:০১ | প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৪৮
আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনি।

টাঙ্গাইল জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছে এক কিশোরী (১৭)।

ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছে। বুধবার রাতে ওই কিশোরী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলাটি করে।

গোলাম কিবরিয়া টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। গোলাম কিবরিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিবের দায়িত্বে আছেন। মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমানকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তবে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে গোলাম কিবরিয়া বলেন, রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে ওই কিশোরী উল্লেখ করেছে, ‘গোলাম কিবরিয়া তার আত্মীয় ও পূর্বপরিচিত। হোয়াটসঅ্যাপে তাদের দুজনের যোগাযোগ ছিল। সম্প্রতি পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের বিষয়টি গোলাম কিবরিয়াকে জানানোর পর তিনি সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়া শহরের আদালত পাড়ায় নিজের বাড়ির পাশের একটি ভবনে ওই কিশোরীকে ডেকে নেন। সেখানে তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে গোলাম কিবরিয়া তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে তাকে ধর্ষণ করে তার আপত্তিকর ছবি তুলে রাখা হয়। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য গোলাম কিবরিয়া তাকে ভয়ভীতি দেখান।’

আপত্তিকর ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে ওই কিশোরী মামলায় অভিযোগ করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, একপর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি গোলাম কিবরিয়া জানার পর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তবে ওই কিশোরী রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে গোলাম কিবরিয়া ওই কিশোরী তুলে নিয়ে আদালত পাড়ার একটি বাড়িতে যান। সেখানে একটি কক্ষে ওই কিশোরীকে তালাবদ্ধ করে রেখে গোলাম কিবরিয়া আবার ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাব ওই কিশোরীকে মারধর করেন। পরে দিবাগত রাত ৩টার ওই কিশোরীকে বাড়িতে রেখে আসা হয়। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকার জন্য মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে ওই কিশোরী এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, তদন্তের মাধ্যমে মূল বিষয়টি বের হয়ে আসবে। দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের বিষয়টি জানানো হবে।

(ঢাকাটাইমস/৬এপ্রিল/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :