ঈদে বাড়ি ফেরা হলো না আরিফ-সাইফুল্লাদের

মো. আরিফ কাজি ঢাকার ইসলামপুর কাপড়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পশ্চিম কেদারপুর গ্রামে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে আরিফ ছোট। তার বাবার নাম মৃত শাহজাহান কাজি। ঈদের ছুটিতে বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা ট্রাভেলস নামে একটি বাসে ঢাকা থেকে শরীয়তপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। যাত্রা পথে সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর এলাকার ষোলঘরে বাসটি পৌঁছলে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। ওই দুর্ঘটনায় আরিফ মারা যান। পরিবারের সাথে ঈদ করা হলো না আরিফ কাজির।
আরিফের মত জেলার সখিপুর থানার ডিএমখালি ইউনিয়নের ঢালীকান্দি গ্রামের সাইফুল লাকুরিয়ার (৩০) মৃত্যু হয়। তার বাবার নাম হাবিব লাকুরিয়া। তিনি ঢাকাতে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তার পাঁচ মাসের একটি ছেলে রেখে গেছেন। আর সখিপুর ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের হাজেরা খাতুনেরও মৃত্যু হয়। তার স্বামীর নাম মোহাম্মদ মোল্লা। তিনি ঢাকায় তার ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। নিহতদের বাড়িতে চলছে মাতম।
উল্লেখ্য, শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর কবরস্থান সংলগ্ন এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের সঙ্গে শরীয়তপুরগামী পদ্মা ট্রাভেলসের একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় অন্তত ১৬ জন। আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয়েছে।
নিহত সাইফুল লাকুরিয়ার চাচাতো ভাই বাসযাত্রী বাচ্চু মিয়া বলেন, বাসে বসেছিলাম হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হলো, তখন পিছে তাকিয়ে দেখি বাস থেকে লোকজন নিচে পড়ে যাচ্ছে। কেউ কান্না করছে, কেউ চিৎকার করছে। নিচে নেমে দেখি সাইফুল আর নেই।
নিহত আরিফ কাজির চাচাতো ভাই লুৎফল্লাহ রহিত বলেন, আরিফ ও তার বন্ধু একসাথে ঢাকা থেকে বাড়িতে রওনা দেয়। পদ্মা ট্রাভেলস বাসে ওঠে আরিফ আর তার বন্ধু ওঠে অন্য বাসে। বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় আরিফের। এটা খুবই কষ্টের।
কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিহির চক্রবর্তী বলেন, আরিফ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে এটা খুবই দুঃখজনক। তার মত সখিপুরে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এলএ)

মন্তব্য করুন