অভিনয় ও রাজনীতির বাইরে আর কী করতেন ফারুক?

৭৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়া ভাই’ হিসেবে তিনি খ্যাত ছিলেন। দর্শকদের উল্লেখযোগ্য হারে কালজয়ী সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা।
পাশাপাশি ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নায়ক ফারুক। এই দলটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন। মৃত্যু পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন।
নায়ক এবং রাজনীতিক ফারুককে তো কমবেশি সারা দেশের মানুষই চেনেন, কিন্তু এই দুই পেশার বাইরে আর কী করতেন খ্যাতিমান এই চলচ্চিত্র তারকা? সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না।
অভিনয় ও রাজনীতির বাইরে ফারুক ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। গাজীপুরে অবস্থিত নিজের শিল্প প্রতিষ্ঠান ফারুক নিটিং ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি। এই ব্যবসার টাকা দিয়ে বারিধারায় দুটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন অভিনেতা।
কিন্তু ধারাবাহিক অসুস্থতা এবং চিকিৎসায় প্রায় সবই হারিয়েছেন ফারুক ও তার পরিবার। এই নায়কের পরিবারে স্ত্রী ফারহানা পাঠান, এক ছেলে রওশন হোসেন পাঠান শরৎ এবং এক মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান রয়েছেন।
গত বছর ঢাকাটাইমসের সঙ্গে আলাপকালে নায়কের ছেলে শরৎ জানিয়েছিলেন, দেশে এবং সিঙ্গাপুরে ফারুকের দীর্ঘ চিকিৎসায় ব্যাংক ব্যালেন্স সবই শূন্য হয়ে গেছে। এমনকি, ব্যবসার টাকা দিয়ে বারিধারায় যে ফ্ল্যাট দুটি কিনেছিলেন, সেগুলোও বিক্রি করে দিতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুলজীবন থেকেই আ.লীগের সঙ্গে ফারুক, বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে
শরৎ জানিয়েছিলেন, তাতেও হিমশিম খেতে হয়েছে ফারুকের চিকিৎসায়। বাধ্য হয়ে তাই আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার দেনাও করতে হয়েছে। পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানও। কিন্তু সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতে পারলেন না ফারুক।
দীর্ঘ দেড় বছর ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খ্যাতিমান এই অভিনেতা ও রাজনীতিক। সেখানে তার বিরল নিউরোলোজিক্যাল রোগ জিবিএস-এর চিকিৎসা চলছিল। সোমবার সকালে মারা গেলেন চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই।
অভিনেতার ছেলে শরৎ দেশের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দেশে আনা হবে সদ্য প্রয়াত ফারুকের মরদেহ। তবে কখন কোথায় তাকে সমাহিত করা হবে, সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি নায়কের পরিবার।
(ঢাকাটাইমস/১৫মে/এজে)

মন্তব্য করুন