‘শেখ হাসিনার কূটনীতিতে সমতা প্রতিষ্ঠার সাহসী উদ্যোগ প্রশংসনীয়’

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২২ মে ২০২৩, ১২:৫৬| আপডেট : ২২ মে ২০২৩, ১৪:০১
অ- অ+

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার কূটনীতিতে সমতা প্রতিষ্ঠার সাহসী উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তিনি সারাবিশ্বে সমতার কূটনীতি প্রতিষ্ঠার অনন্য কারিগর। এ কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে আজ অনন্য উচ্চতায়।’

রবিবার বিকালে নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।

দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, গবেষণার জন্য এটি হবে সেন্টার অব এক্সিলেন্স। এখানে একটা সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নিয়ে গবেষণা হবে। তিনি তাঁর জীবন সংগ্রামে কেমন করে সপরিবারে পিতাকে হারানোর পর একজন বিশ্বরাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছেন। সেসব বিষয়েও গভীর মনোনিবেশের সঙ্গে গবেষকগণ অনুসন্ধান করবেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় একটা সময় মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রাণকেন্দ্র হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে উৎকর্ষ অর্জন করবে- সে বিষয়ে আমরা সবাই আশাবাদী।’

উপাচার্য ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফেরার পর ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সর্বপ্রথম মাঠে নামলেন। এরপর তিনি অগণতান্ত্রিক এবং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠা করেন গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। এরপর তিনি নামলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের আন্দোলনে। সেখানে সাফল্য অর্জন শেষ তিনি ঘোষণা করলেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর ধারণা। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে রয়েছি। তাঁর এই দীর্ঘ রাজনৈতিক পথপরিক্রমা ছিল চ্যালেঞ্জিং। অতিসম্প্রতি কূটনীতিতে তিনি যে সমতা প্রতিষ্ঠা করেছেন সেটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’

উপাচার্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য সকল দেশের কূটনীতিতে সমতা প্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে সাহসী উদ্যোগ।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্ত বুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র। এখানে ছাত্রছাত্রীরা শুধু লেখাপড়ার জন্য নয়, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদেরকে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশের উন্নয়ন এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাইলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিতে হবে, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাইলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থমকে যাবে, দেশ আবারো সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গোলাম কবীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২২মে/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা