কনস্টেবল রনির হাতে যে কারণে পিস্তল ছিল, যা জানালেন গুলশানের ডিসি

পুলিশে কর্মরত কনস্টেবলরা মাঠে তাদের দায়িত্ব পালনের সময় রাইফেল ব্যবহার করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী চেকপোস্টে কর্মরত পুলিশ সদস্যের কাছে পিস্তল ছিল, যা দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। এরপরই প্রশ্ন ওঠে পুলিশ সদস্যের হাতে কীভাবে পিস্তল এলো? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।

ডিসি মো. শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত যেসব কনস্টেবল চেকপোস্টে ডিউটি করেন তারা পিস্তল ব্যবহার করতে পারেন।’

আরও পড়ুন>> নিজের অস্ত্র দিয়ে গুলি করে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা

জানা গেছে, নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করেন কনস্টেবল আশরাফ উজ জামান রনি। পুলিশের ধারণা, প্রেমঘটিত কারণে বিষণ্ণতায় আত্মহত্যা করতে পারেন তিনি।

ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে সিদ্ধান্ত হয় চেকপোস্টে যে কনস্টেবলরা ডিউটি করবেন তারা নিজেদের সুবিধার্থে পিস্তল ব্যবহার করবেন। অনেক আগে থেকেই সব চেকপোস্টে পিস্তল ব্যবহার করেন কনস্টেবলরা।’

আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, ‘কনস্টেবল রনির সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা মোবাইলে বেশিরভাগ সময় কথা বলতেন। গত বুধবার রাতের বেশিরভাগ সময় তারা মোবাইলে কথা বলেন। সকালে ডিউটিতে আসার আগেও কথা হয় তাদের দুজনের মধ্যে।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নিহত রনির মোবাইল ফোন চেক করে দেখা গেছে, প্রেমঘটিত কোনো বিষয় নিয়ে কনস্টেবল রনির প্রেমিকার সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। এ কারণেই তিনি নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে এ বিষয়ে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বনানী ১১ নম্বরে চেকপোস্টে ডিউটি ছিল রনির। সকালে স্বাভাবিকভাবে তিনি ডিউটিতে আসেন। সঙ্গে আরও পুলিশ সদস্য ছিলেন। সকাল ৬টা ৪৯ মিনিটের দিকে চেকপোস্টের পাশেই বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে নিজের পিস্তল দিয়ে নিজে গুলি করে আত্মহত্যা করেন রনি।’

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/এসএস/এফএ)