কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালদের দৌরাত্মে অসহায় রোগী

আশিকুর রহমান, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)
 | প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২৩, ১৮:৫১

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার নাজমুন নাহার ইতির নেতৃত্বে দালালদের দৌরাত্ম ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব দালালদের দিয়ে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে প্রতিদিন মোট অংকের উৎকোচ নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার দায়িত্বে থাকা নাজমুন নাহার ইতি তার নিজস্ব নিয়মে চলেন। নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টারে থাকার কথা থাকলেও তিনি বেশিরভাগ সময় দুপুর ২টার আগেই চলে যান।

এছাড়াও সকাল ১০টার আগে হাসপাতালে থাকার কথা থাকলেও আসেন নিজের ইচ্ছে মতো। অন্যদিকে রোগী দেখা বাদে তাকে বেশির ভাগ সময় দেখা যায় বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের এবং তার পালিত দালালদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতে। বাহিরে রোগীদের অপেক্ষমাণ লাইন থাকলেও তার ভেতর দিয়েই ওইসব প্রতিনিধি ও দালালদের নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এর ফলে চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া সাধারণ জনগণ তার কক্ষের সামনে পড়তে হয় চরম বিপাকে।

জানা যায়, প্রতি মাসে এসব ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের থেকেও মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করেন। এছাড়াও তার কক্ষের সামনে প্রতিদিন উৎপেতে থাকা দালালদের মাধ্যমে প্রতিবন্ধি সনদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সনদপত্র স্বাক্ষর করাতেও মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার নামে। শুধু সনদ বাণিজ্যই নয়। অবৈধ পন্থায় নবজাতক নষ্ট করতেও মোটা উৎকোচ নিয়ে থাকেন মেডিকেল অফিসার নাজমুন নাহার ইতি। কোনো এক অদৃশ্য শক্তির বলে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে এমন রাজত্ব চালাচ্ছেন মেডিকেল অফিসার নাজমুন নাহার ইতি।

সাবিনা আক্তার নামে এক রোগী অভিযোগ করেন, হাসপাতালে এসেছি সেবা নিতে। টিকেট কেটে ৮ নাম্বার কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে দেখি এক ডর্জন পুরুষ মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। অনেক সময় পর কক্ষে যেতে পেরেছে তাও আবার দালালের মাধ্যমে।

রবিউল হাসান রবিন নামে এক ভুক্তভোগী জানান, একটা মেডিকেল সার্টিফিকেটের জন্য অনেক অনুরোধ করেছি তিনি বিভিন্ন অজুহাত দিলেন। কিন্তু দুই দিন ঘুরে ফিরে দালালের মাধ্যমে কাজ করাতে হয়েছে।

এসব বিষয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাজমুন নাহারের সঙ্গে কথা বলতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করলে তিনি জানান, আপনার যা বলার আছে, তা অফিসে এসে কথা বলেন। আমি আপনার কথা শুনতে বাধ্য নয়। আর আমি দুপুরের পরে বাহিরে চেম্বার করি। রাতে কোয়ার্টারে থাকি। আপনি যা পারেন করেন। আমার কোনো সমস্যা নেই।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :