মাদক কারবারিদের ধরিয়ে দেওয়ায় হত্যা, মূল আসামি চার বছর পর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ মে ২০২৩, ২২:১৭

মাদক কারবারিদের ধরিয়ে দেওয়ার কারণে আব্দুল ওহাব নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। এই মামলার মূল আসামি রনিকে চার বছর দুই মাস পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেটিগেশন (পিবিআই)। সোমবার পিবিআইয়ের দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নিহত আব্দুল ওহাব ঝালকাঠি জেলার সদর থানার শিমুলেশ্বর গ্রামের হাতেম আলী হাওলাদারের ছেলে।

পিবিআই জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থানার ছোট ভবানীপুর (ম্যাজিস্ট্রেটবাড়ি) এলাকায় শ্বশুর বাড়ি থেকে রবিবার দিবাগত রাতে রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পিবিআইয়ের একটি বিশেষ টিম পুলিশ পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত, উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন মোল্লা ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন আহমেদ এই অভিযানে ছিলেন।

পিবিআই জানায়, ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রাতে অজ্ঞাতনামা আসামিরা ভুক্তভোগী আব্দুল ওহাবকে ডেকে ঢাকার খিলগাঁও থানার উত্তর গোড়ান ভূঁইয়ার ঝিলপাড় শেখ রাসেল মাঠে নিয়ে যান। সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন তারা। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে রাজধানীর পান্থপথের ইউনিহেলথ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ১১ মার্চ সকাল ৮টায় তিনি মারা যান। নিহত আব্দুল ওহাব মাদক উদ্ধারে পুলিশকে সহযোগিতা করতেন।

ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী সুইটি বেগম বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহার দায়ের করলে তদন্ত সংস্থা ডিএমপির ডিবি মামলাটির তদন্তকালে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে দুজন আসামি নিজেদের নাম জড়িয়ে মোট পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

তদন্ত শেষে দুজন আসামির নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত পূর্ববর্তী তদন্ত সংস্থার দাখিল করা অভিযোগপত্র অগ্রাহ্য করে ওই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লিখিত আসামি রনি ও শাওনের সঠিক নাম-ঠিকানা উদ্ধারসহ অধিকরত তদন্তের জন্য স্ব-প্রণোদিত হয়ে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

পরে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্তভার পিবিআই (ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ) পায়। এরপর প্রথমে এসআই শাহানাজ ফাতেমাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তাধীন অবস্থায় তার অন্যত্র বদলি হওয়ায় পুলিশ পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান। পরে তিনি এই দুই আসামির সঠিক নাম-ঠিকানা উদ্ধার ও গ্রেপ্তারে তৎপর হন। অবশেষে রবিবার দিবাগত রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত রনি চাঁদপুরের কচুয়া থানার কান্দিরপাড় গ্রামের মোহাম্মদ হালিম খোকনের ছেলে।

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/এএ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

নারীরা মাদকাসক্ত হলে সমাজের সবার ক্ষতি

বনানীর প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট বন্ধের নেপথ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পুত্র! অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে

কিনে আনে দুলাভাই, বিক্রি করে শ্যালক!

‘মাদক নির্মূল করতে পারলে অন্যান্য সব অপরাধ কমে যাবে’

ঢাকায় কারাবন্দি ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু

দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে অবশেষে ধরা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকার নুরুল আমিন

ব্যাংকের লাইনে থাকা যুবকের ২০ লাখ টাকা কেড়ে পালাল পুলিশ, অতঃপর...

সরকারের কত টাকা কর ফাঁকি দিল এনডিই চেয়ারম্যান ইমরান মুস্তাফিজ?

মাদক কারবারির কাছে ঘুষ দাবি: চারঘাটের সেই ওসিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পরামর্শ

তারা ভারত যেতেন রোগী সেজে, বিমানে ফিরতেন মাদক নিয়ে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :