দিনাজপুরে বাণিজ্যিক কুকুরের খামার

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর
 | প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২৩, ১৩:০৫

দিনাজপুরে প্রথম বারের মত বাণিজ্যিকভাবে কুকুরের খামার গড়েছেন জাহিদ ইসলাম সোহাগ নামে এক যুবক। বিদেশি বিভিন্ন জাতের কুকুর পালনসহ প্রজনন করিয়ে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন তিনি। অনলাইন মার্কেটিংসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতা, সংস্থা ও ব্যবসায়ীরা তার ফার্ম থেকে কুকুর সংগ্রহ করছেন।

এদিকে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা কুকুর লালন পালনে রোগ না ছড়ানোর পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন।

দিনাজপুর শহরে থেকে দুই কিলেমিটার উত্তরে চেহেলগাজী ইউনিয়নের উত্তর নয়নপুর এলাকায় ‘ডগ হাউজ’ নামে এই কুকুরের খামার। প্রায় সাড়ে ৮ বছর আগে সখের বশে জাহিদ ইসলাম সোহাগ প্রথমে একটি ও পরে দুটি বিদেশী কুকুর নিয়ে শুরু করেন এই খামারের যাত্রা। কুকুরের প্রথমে ৩টি ও পরে ৭টি বাচ্চা প্রজননের মাধ্যমে তার ভাগ্য খুলে যায়। অনলাইন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে তিনি শুরু করেন কুকুর বিক্রি। অধিক লাভে তিনি শুরু করেন বিভিন্ন জাতের বিদেশি কুকুর সংগ্রহ ও প্রজনন প্রক্রিয়া।

জাহিদুল ইসলাম সোহাগ ঢাকা টাইমসকে জানান, এখন তার খামারে আমেরিকান লাসা, টয় কোয়ারিয়ান, জাপানি লাসা, চায়না লাসা, জার্মানি শেপার্ড, ব্লাক শেপার্ড, উল্ফ, এলসেশিয়ান, গোল্ডেন রিটাইভারসহ ৯ প্রজাতির ৩২টি কুকুর রয়েছে। প্রকার ভেদে এসব কুকুর ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন তিনি। বাণিজ্যিকভাবে কুকুর বিক্রিতে তার প্রতিবছর ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় হয়।

এদিকে সরজমিনে দেখা যায়, কুকুরের খামারটি দেখাশোনা ও পরিচর্যায় নিয়োজিত রয়েছেন তিনজন শ্রমিক। শ্রমিকদের বেশ ভক্ত কুকুরগুলো। তাদের সঙ্গে খেলা করছে। ছুঁটছে, লাফিয়ে উপরে উঠছে, হেন্ডশেক করছে।

মকবুল হোসেন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ‘কুকুরগুলো বেশ প্রভুভক্ত। সোহাগ ভাই এবং তার লোকজন যা বলে কুকুরগুলো তাই শুনে। চুপ খাকতে বললে কুকুরগুলো মাথা নিচু করে বসে বা শুয়ে পড়ে। আর কোন লাফালাফি করেনা।’

নীলফামারী থেকে খামার দেখতে আসা হাসান আলী ঢাকা টাইমসকে জানান, ‘কুকুরগুলো বেশ সুন্দর। দেখে ভালো লাগলো। আমিও দুটি কুকুর নিতে চাই। ইচ্ছে আছে খামার দেওয়ার।’

জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুকুরের খামার গড়ে ওঠায় স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সজাগ রয়েছেন। খামারটি নিয়মিত পরিদর্শন ছাড়াও কুকুর লালন পালনে রোগ না ছড়ানোর পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছেন বলে ঢাকা টাইমসকে জানান সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম কিবরিয়া।

আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন

তিনি বলেন, ‘সতর্কতা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে খামারটি পরিচালিত হলে খামারি বেশ লাভবান হবেন। কোন ক্রমে যেন রোগ-জীবাণু না ছড়ায় সেদিকে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে। সতর্ক খাকতে হবে সব সময়। কারণ, এখানে হিংস্র জাতের কুকুরও রয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/৩০মে/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :