নিরাপত্তা সহযোগিতা মানে কোনো জোটে যোগ দেয়া নয়: শাহরিয়ার আলম

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সহযোগিতার অর্থ- কোনো কৌশলগত জোটে যোগদান নয়, বরং নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।
বাংলাদেশ কোন ভিত্তিতে নিরাপত্তা সহযোগিতা স্বাক্ষর করেছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা সহযোগিতা কৌশলগত জোটকে বোঝায় না ... (যদি কেউ মনে করে) বাংলাদেশ তৃতীয় কোনো দেশের সঙ্গে যুদ্ধের বিরূদ্ধে সেই দেশটির পক্ষে যোগ দিতে পারে- তবে তা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।’
রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার ‘ক্রসরোডে বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী পরিচালক ও প্রকাশক তারিন হোসেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলম বলেন, বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না, কোনো যুদ্ধে যাবে না... (এবং) আমরা কোনো নিরাপত্তা হুমকির মধ্যেও নেই। বাংলাদেশ তার নিজস্ব সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে ও যেকোনো ধরনের উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে দমন করতে বিভিন্ন দেশ থেকে নিরাপত্তা সরঞ্জাম সংগ্রহ করে।
তিনি বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে প্রক্রিয়াটি ধীর হয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, চীনের নেতৃত্বাধীন গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) একটি নতুন বিষয় এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কিছু না করা পর্যন্ত এ ব্যাপারে বলার মতো কিছু নেই।
মন্ত্রী বলেন, একটি কমিটি আছে, যারা বিষয়টি দেখবে। আমরা এখনও জিডিআই সংক্রান্ত কোনো পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এ যোগ দিয়েছে এবং বিআরআই নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো বিদেশি চাপে নেই।
প্রতিমন্ত্রী একটি রাজনৈতিক প্রশ্নের বিষয়ে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সমান রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন। সকল রাজনৈতিক দল তাদের অঙ্গীকার দেখিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন শাহরিয়ার।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে এবং সংকট সমাধানে প্রধান দেশগুলোর সহযোগিতা চেয়েছে।
ঢাকাটাইমস/৩১মে/ইএস

মন্তব্য করুন