উড়িয়ে দেওয়া হলো দিনিপ্রো নদীর বাঁধ, দক্ষিণ ইউক্রেনে বন্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ১৬:৩৪ | প্রকাশিত : ০৬ জুন ২০২৩, ১৫:৫৭

দক্ষিণ ইউক্রেনে রুশ এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পৃথককারী দিনিপ্রো নদীর একটি বাঁধের ফুটো দিয়ে পানির স্রোত প্রবেশ করায় তা ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের পানিতে তলিয়ে গেছে দক্ষিণ ইউক্রেন। স্থানীয় গ্রামবাসীরা বন্যার কবলে পড়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

নোভা কাখোভবা নামের বাঁধটির মাধ্যমে ঝাপোরঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ক্রিমিয়া উপদ্বীপে পানি সরবরাহ করা হতো। দুটো অংশই এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। এর পিছনে অবস্থিত ২৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২৩ কিলোমিটার চওড়া বিশাল জলাধারটি দক্ষিণ ইউক্রেনের প্রধান ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি।

ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছা করে ভিতর থেকে বাঁধটি উড়িয়ে দিয়েছে। এটি যুদ্ধাপরাধের শামিল।

অপরদিকে রুশ সমর্থিত কর্মকর্তারা পরস্পরবিরোধী বিবরণ দিয়েছেন। কেউ কেউ বাঁধ ভাঙ্গার জন্য ইউক্রেনের গোলাগুলিকে দায়ী করেছেন, অন্যরা বলছেন বাঁধটি নিজেই ফেটে গেছে।

বাঁধ ভাঙ্গার ফলে যুদ্ধ অঞ্চলের কেন্দ্রে একটি নতুন মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। রাশিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই বাঁধটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। যদিও ইউক্রেনীয় বাহিনী গত বছর নদীর উত্তর দিকটি পুনরুদ্ধার করেছিল। উভয় পক্ষই একে ধ্বংস করার পরিকল্পনার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে।

রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লিখেছেন, ‘রাশিয়ার সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করা কাখোভকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধের চিত্র সমগ্র বিশ্বের জন্য এটাই নিশ্চিত করে যে ইউক্রেনীয় ভূমির প্রতিটি কোণ থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে। রুশরা বাঁধের কাঠামোর ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এর ফলে প্রায় ৮০টি বসতি বন্যার কবলে পড়েছে।’

ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলের রুশ সমর্থিত গভর্নর কিয়েভকে পূর্বে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের ব্যর্থতা থেকে মনোযোগ বিভ্রান্ত করতে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বাঁধে আঘাত করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন বাঁধটি আগের ক্ষতির কারণে নিজেই ফেটে গেছে।

বাঁধের ওপরের বিশাল জলাধারটি ক্রিমিয়া উপদ্বীপসহ বিপুল পরিমাণ কৃষি জমিতে পানি সরবরাহ করতো। এটিকে রাশিয়া ২০১৪ নিজেদের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়। এটি ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য শীতল পানিও সরবরাহ করে, যা রাশিয়ার অধীনস্থ ভূখণ্ডে অবস্থিত।

ইউএন নিউক্লিয়ার ওয়াচডগ টুইটারে বলেছে, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, কিন্তু প্ল্যান্টে তাৎক্ষণিক পারমাণবিক নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রোসাটমও বলেছে, বাঁধ লঙ্ঘন আপাতত প্ল্যান্টের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেনি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/৬জুন/এসএটি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :