ধানমন্ডিতে বিউটিশিয়ানকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলার তদন্তের অগ্রগতি কতদূর?

আশিক আহমেদ, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩, ১০:১৪ | প্রকাশিত : ০৭ জুন ২০২৩, ১০:১২

রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসায় এক বিউটিশিয়ানকে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার তদন্ত আট মাসেও শেষ করতে পারেনি পুলিশ। ধর্ষণের ফরেনসিক প্রতিবেদন না পাওয়ায় বিলম্ব হচ্ছে বলে শেরেবাংলানগর থানার পুলিশ জানিয়েছে।

২০২২ সালের ১১ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডি ২৮ নম্বরের একটি বাসায় ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পর দুদিন পর ১৩ অক্টোবর ভুক্তভোগী নারীর স্বামী রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করেন। মামলা নম্বর-১৬। ওই মামলায় তিনজন পুরুষ এবং একজন নারীকে আসামি করা হয়। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান শেরেবাংলানগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ। পরে তিনি বদলি হয়ে গেলে নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা হন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম। মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন>>শারক্বীয়ার আমির দেশের ভেতরেই আছেন: র‌্যাব

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপি তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার মাহমুদ খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মামলাটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। এতদিন ধরে তদন্ত শেষ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মামলার ফরেনসিক প্রতিবেদন এখন হাতে পায়নি।’

মামলার কাগজপত্র ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্র জানায়, ওই নারীর অনলাইনে একটি পেজ ছিল। বাসায় গিয়ে বিউটিশিয়ানের কাজ করতেন তিনি। ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর বিকালে একটি নম্বর থেকে তার মোবাইলে ফোন আসে। তাকে বলা হয়, ধানমন্ডিতে বাসায় গিয়ে কাজ করতে হবে। ভুক্তভোগী নারী জানান, তিনি সাভারে আছেন। কিন্তু ফোনের ওপাশ থেকে এক নারী ভুক্তভোগী নারীকে অনেক অনুরোধ জানান। আর রাইড শেয়ারে গেলে তিনি খরচ দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে রাইড শেয়ারে করে ধানমন্ডি ২৮ নম্বর রোডে যান। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ওই নারী ভুক্তভোগীকে বলেন, তার ছোট ভাইকে পাঠিয়েছেন। তার সঙ্গে যেন বাসায় চলে যান। পরে ওই যুবক ভুক্তভোগী নারীকে ধানমন্ডি ২৮ নম্বরের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ওই নারী (ফোনের ওপাশে থাকা) কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখে দরজা লক করে দেন। আর তার মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেন। কিছুক্ষণ পর তিনজন ছেলে ওই বাসায় আসেন। ওই তিন ছেলে ভুক্তভোগী নারীকে চেতনানাশক কিছু খাওয়াতে চান। কিন্তু তিনি অস্বীকৃতি জানালে মারপিট করেন। এরপর পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। পরে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তারা ভুক্তভোগী নারীকে বলেন, তুই মরতে চাস না বাঁচতে চাস? যদি বাঁচতে চাস, তাহলে কাউকে কিছুই বলবি না। সোজা এখান থেকে বেরিয়ে চলে যাবি।

ওই ভুক্তভোগী নারী তার মোবাইল ফেরত দেওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করলে তার সিমটি তাকে ফেরত দেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে কোনো রকমে বের হলে তারা মোটরসাইকেলে পিছু নেন। এরপর এক রাইডারকে অনেক অনুরোধ করে গাবতলী পর্যন্ত যান ওই নারী। পরে এক দোকানের মোবাইলে সিম ঢুকিয়ে তার স্বামীকে কল দিলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নেওয়া হয়। পরে ১২ অক্টোবর সকালে ওই নারীকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। পরে তাকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।

এদিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের নারী শিশু ৪ এর সরকারী নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোজাফফর হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এই মামলার নথি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নিয়ে গেছে। তাই বর্তমানে কতজন আসামি কারাগারে আছেন আর কতজন আসামি জামিনে আছেন সেটা বলতে পারছি না।’

(ঢাকাটাইমস/০৭জুন/এএ/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :