খুলনায় অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দিলেন তালুকদার খালেক
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত ও চলমান উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করব। সবাইকে নিয়ে আমি কাজ করতে চাই।
সোমবার খুলনা শিল্পকলা একাডেমিতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণার পর তিনি এ কথা বলেন।
ভোটরা উপস্থিতি কম হওয়ার প্রসঙ্গে তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, কয়েকটি মিলকারখানা বন্ধের কারণে অনেক শ্রমিক খুলনার বাইরে চলে গেছেন। সে কারণে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ হয়নি। এর আগে কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বেসরকারিভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকে তালুকদার আবদুল খালেক পেয়েছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মো. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট। ৯৪ হাজার ৭৬১ ভোটে আব্দুল আউয়ালকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তালুকদার খালেক।
এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মো. শফিকুল ইসলাম মধু পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৪ ভোট, জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীকে এস এম সাব্বির হোসেন পেয়েছেন ছয় হাজার ৯৬ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এস এম শফিকুর রহমান পেয়েছেন ১৭ হাজার ২১৮ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে, কোথাও ভোট বাতিল বা কোনো কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়নি। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। আমরা কথা দিয়েছিলাম, খুলনাবাসীকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেব। এ ফলাফলের মধ্য দিয়ে খুলনাবাসীর বিজয় হয়েছে।
এদিন সকাল ৮টা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত থাকায় ৪টার পরও ভোট নেওয়া হয়। কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা। ইভিএমে ভোট নিতে অনেক সময় লাগে বলে অভিযোগ করেন ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ২৯টি ওয়ার্ডে ১৩৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
(ঢাকাটাইমস/১২জুন/এআর)