জাতীয় নির্বাচন কবে, সংসদে জানালেন প্রধানমন্ত্রী
চলতি বছরের শেষে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংসদের বাজেট অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান মেয়াদে এটাই শেষ বাজেট। তবে একেবারে শেষ বাজেট কি না, সেই সিদ্ধান্ত জনগণ ভোটের মাধ্যমে নেবে।’
এসময় মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় সরকারি চাররিজীবীদের ৫ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হবে বলেও সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংসদ নেতা বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে একটি বাজেট দেওয়াই বড় ব্যাপার। সংকটের মধ্যেও শক্ত হাতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, বেশি দামে পণ্য আমদানি করতে গিয়ে রিজার্ভে টান পড়েছে। বলেন, ‘আরও ৪/৫ মাস খাদ্য কেনার সক্ষমতা আছে বাংলাদেশের।’
উল্লেখ্য, একাদশ সংসদের মেয়াদ ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেই হিসাবে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ‘আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেলো। আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না আসে, এটা বাস্তবায়ন করবে কে?’ দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবে; একটি মানুষ দেখান। সেরকম কোনো নেতৃত্ব আপনারা যদি দেখাতে পারেন, আমার কোনো আপত্তি নেই।
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা জানি, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশকে উন্নত করতে হলে আমাদেরই দরকার। তাই জনগণকে এটিই বলব, বার বার আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। দেশের সেবা করতে পেরেছি বলে আজ আমরা দেশটাকে এই উন্নয়নের ধারায় নিয়ে আসতে পেরেছি। দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। আজকে বেকারত্বের সংখ্যা মাত্র তিন ভাগ। ’আওয়ামী লীগের ক্ষমতা থাকলে দেশ এগিয়ে যায়। জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দেশ দিয়ে গেছেন, এই দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করা, এটাই আমাদের দায়িত্ব ও লক্ষ্য। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে বিজয়ী জাতি বাঙালি মাথা উঁচু করেই চলবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষের কল্যাণ, জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে। চলতি বছর বাজেট হল একেবারে খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে সবার স্বার্থ রক্ষার বাজেট। বাজেটে আমাদের কার্যক্রমগুলো সাজানো হয়েছে সেই লক্ষ্য সামনে রেখে। আমরা চাই, আমাদের উন্নয়নটা অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।
বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এবারের বাজেট নিয়ে অনেক শোনেছি। যে বাজেটকে অনেকেই উচ্চাভিলাষী বলেছে, অনেকে বলেছে বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তবে এই কথাগুলো সব সময় শুনে থাকি। কিছু লোক আছে, তাদের সব কিছুতেই একটা নেতিবাচক কথা বলার অভ্যাস। কিছু লোক আছে তারা কোনো ভালো চোখে দেখে না। সেটাই হচ্ছে আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্য। ’
(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/ডিএম)