বাজিতপুরে আফতাব উদ্দিন স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন করেছে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘আফতাব উদ্দিন স্কল এন্ড কলেজের ৯৩ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ।
শনিবার শিল্পপতি মরহুম জহুরুল ইসলাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রথম পর্যায়ে ছিল আনন্দ র্যালি প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত, সাবেক শিক্ষকদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান ও স্মৃতিচারণ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল স্থানীয় শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
৩০ বছর আগে তারা স্কুল ছেড়েছেন কিন্তু এখনও ছিঁড়তে পারেননি ফেলে যাওয়া হাজারো স্মৃতি জড়ানো স্কুলের প্রতি দরদী টান। এখন তারা বিভিন্ন পেশায় সুপ্রতিষ্ঠিত। কেউ সরকারি আমলা, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ ব্যাংকার, কেউ গৃহিণী, আবার কেউ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ বলতে ফেসবুক কিংবা হোয়াটসঅ্যাপেই ছিল সীমাবদ্ধ। কারও তো আবার স্কুলজীবন শেষ হওয়ার পর আর যোগাযোগই হয়নি। শনিবার আবার তারা একসঙ্গে মিলিত হয়েছেন। উপলক্ষ বিদ্যালয়ের ৯৩ ব্যাচের পুনর্মিলনী। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের প্রাক্তনদের কণ্ঠ থেকে ভেসে আসছিল, ‘বন্ধু, কী খবর বল, কত দিন পর দেখা’, ‘এই মাঠেই তো খেলে বেড়াতাম, আজ চেনাই যায় না’, ‘পাশের এখানে হোস্টেল ছিল, ‘এখন তো সব এক হয়ে গেছে’ প্রভৃতি। তারা বলছিলেন মনের গহীনে জমে থাকা নানা কথা।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান (মস্তু মিয়া)। সাবেক শিক্ষক মো. মোবারক হোসেন মাস্টার, বিমল বসুন দাস, মো. ফারুক হোসেন এবং অত্র স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুম মিয়া প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও জেলা জজ মো. সামছুল ইসলাম।
উপজেলার ভাগলপুরে অবস্থিত আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ভৈরব রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. ফোরকান উদ্দিন ও ফারজানা আক্তার রুনার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও উপসচিব মো. নেছার উদ্দিন জুয়েল। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মো. দ্বীন ইসলাম তুহিন, রুপালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন মানিক,নাভানা গ্রুপের ব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. তরিকুল ইসলাম সেলিম।
আলোচনা সভা শেষে বিকাল গড়াতেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের হাতে স্মরণিকা, টি–শার্টসহ উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। ঘড়ির কাঁটা তখন বিকাল সাড়ে ৬টা ছুঁই ছুঁই, সময় বলছে এবার বিদায়ের পালা। যাওয়ার বেলায় বিদায়ী বন্ধুরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলছিলেন, ‘আবার হবে তো দেখা, এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো।’
(ঢাকাটাইমস/১জুলাই/এআর)

মন্তব্য করুন