অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে যাচ্ছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৩, ১৭:৩৩ | প্রকাশিত : ১৪ জুলাই ২০২৩, ১৫:৩৮

তার সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আগামী মাসে (আগস্টে) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে বলে জাতিকে আশ্বস্ত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। খবর জিও নিউজের।

বৃহস্পতিবার একটি লাইভ ভাষণে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্ব দেব।’

প্রধানমন্ত্রী সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি করেছিলেন যেখানে ১৩ দলীয় জোট সরকার ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতায় এসেছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৫ মাসে চার বছরের জগাখিচুড়ি পরিষ্কার করেছি এবং অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক সম্পর্কের ফ্রন্টে যে আগুন লেগেছিল তা নিভিয়ে দিয়েছি। আমাদের জোট সরকার ১৫ মাসের ক্ষমতায় রাষ্ট্রকে বাঁচিয়েছে, রাজনীতিকে নয়।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ যোগ করেছেন, তিনি দৃঢ় বিশ্বাসী যে পাকিস্তান দিনরাত কাজ করে ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে পারে।

তিনি পিটিআই সরকারের আমলে আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রোগ্রাম অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে ছিল। তবে, এখন আরেকটি নতুন স্ট্যান্ড-বাই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এছাড়াও চীন, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) পাকিস্তানের কঠিন সময়ে ‘আন্তরিকভাবে’ সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান। এমনকি তার সরকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একটি ব্যাপক পরিকল্পনাও তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন।

দেড় বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে হতাশা থেকে বের করে এনে আশার আলো দেখিয়েছেন বলে ব্যক্ত করেন শাহবাজ শরিফ। তার সরকারের এই সময়কালকে বেকারত্ব থেকে পুনরায় কর্মসংস্থানের দিকে যাত্রা বলেও মন্তব্য করেছেন।

শাহবাজ শরিফ আরও বলেন, ‘স্বল্প মেয়াদে গঠিত একমাত্র জোট সরকার। পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নেতৃত্বাধীন সরকার উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে কৃষি, শিল্প, জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করছে। ব্যবসায়িক এবং বিনিয়োগ সম্প্রদায়ের আস্থা ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। এখন ঋণের চক্র ভাঙার সময়।’

তিনি জাতিকে ঘৃণা মুছে ফেলে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আগের মতো কর্মসংস্থান তৈরি করার আশ্বাস দেন।

একদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, জোট সরকারের মেয়াদ ১৪ আগস্ট শেষ হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ‘অক্টোবর বা নভেম্বর’ এ ঘোষণা করবে।

প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে বর্তমান শাসকরা জাতীয় পরিষদকে তার নির্ধারিত তারিখের আগে ভেঙে দেওয়ার কথা ভাবছেন না যা এই বছরের ১৪ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা।

জাতীয় সংসদ তার সাংবিধানিক মেয়াদ শেষ করার ৬০ দিন পর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যদি সরকার তার সাংবিধানিক মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দেয় তবে নির্বাচনের তারিখ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/এসএটি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :