বগুড়ায় মধ্যরাতে বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ২ নেতাকে আটকের অভিযোগ

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০২৩, ১০:৪৬| আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৩, ১২:২৪
অ- অ+

মধ্যরাতে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েলকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপি।

জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, রাত সোয়া ৩টায় মাজেদুর রহমান জুয়েলকে পুরান বগুড়ার বাড়ি থেকে এবং রাত সাড়ে ৩টায় শহরের সূত্রাপুরের বাসা থেকে আলী আজগর তালুকদার হেনাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তাদেরকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

দুই নেতাকে আটকের প্রতিবাদে জেলায় আপনাদের নতুন কোনো কর্মসূচি আসবে কি না জানতে চাইলে রেজাউল করিম বাদশা বলেন, আমাদের তো কেন্দ্রীয় কর্মসূচি চলমান রয়েছে। আর এ ঘটনায় আমাদের আরো নেতৃবৃন্দ আছেন তাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গতকালকের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সরাসরি যারা আসামি এবং ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংখ্যা দিয়ে না, যাদের নাম আমরা আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি, যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকের নামে মামলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড়ে পুলিশ-বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এর আগে বিএনপির মিছিল ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড়ে এসে সোজা রাস্তা দিয়ে সাতমাথায় প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। মিছিলের পেছন থেকে তারা ইট ছুড়ে মারতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ তীব্র হলে টিয়ারশেল এবং পরে রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত ছয় সদস্য আহত হন। প্রায় আধাঘণ্টার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পরে পুলিশ বিএনপির মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে এর কিছুক্ষণ পরে শহরের নবাববাড়ী রোডে বিএনপির দলীয় কার্যালয় এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। সেখানেও পরিস্থিতি শান্ত করতে দুই রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে হয় পুলিশকে।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দীকী রিগ্যান দাবি করেছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, আমরা নিরাপত্তার জন্য মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলাম। বিএনপির মিছিলের সঙ্গে আমাদের কোনো কিছুই হয়নি। তারা অতর্কিতে হামলা করে পুলিশের ওপর। এতে আমাদের অন্তত ৬ জন সদস্য আহত হয়েছেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটা টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতে হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সিংড়ায় বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আটক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা