দিনাজপুরে চুমকি হত্যায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩

দিনাজপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১৯:০৪

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ফারহানা আক্তার চুমকি (৩৫) হত্যার ৫ দিনের মাথায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সম্মানহানি হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে চুমকিকে হত্যা করেছে তার দ্বিতীয় স্বামী আব্দুর রাজ্জাক (৫০)।

বৃহস্পতিবার বিকালে দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন, জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ।

বিকাল সাড়ে ৩টায় জেলে পুলিশ সুপার সন্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ বলেন, ‘নিহত চুমকির প্রথম স্বামী সঙ্গে সংসার চলা অবস্থায় ২০২২ সালে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ৮নং আওলাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে চুমকি তার প্রথম স্বামী এজাজুল হক ওরফে সনিকে তালাক দিয়ে ওই চেয়ারম্যানকে বিয়ে করে। নিহত চুমকিকে বিয়ে করায় সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে থাকে আব্দুর রাজ্জাক। সে কারণেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চুমকিকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ঘোড়াঘাটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান রাজ্জাক। নিহত চুমকি তার কথায় রাজী হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার নিহত চুমকিকে পাঁচবিবি উপজেলা থেকে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে করে নিয়ে আসে গাড়ি চালক এমদাদুল। এরপর পৃথক পৃথক জায়গা থেকে হত্যাকারী চেয়ারম্যান এবং তার সহযোগীরা গাড়িতে ওঠে। তারা নিহত চুমকিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার এলাকায় নিয়ে আসে এবং গাড়ির মধ্যেই গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে চুমকিকে হত্যা করে। এরপর চুমকিতে খারাপ মেয়ে বলে আখ্যায়িত করতে কথিত পতিতা এলাকা মোজামের আম বাগানে চুমকির লাশ ফেলে রেখে চলে পালিয়ে যায় তারা।

গ্রেপ্তার তিন আসামিকে বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ৮নং আওলাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক (৫০) এবং তার সহযোগী একই উপজেলার বয়রা-ছাতিনালী গ্রামের মৃত মালেক মন্ডলের ছেলে এমদাদুল (৪৮) ও মাইক্রোচালক দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মরিচা গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে এমদাদুল হক (৪৫)।

নিহত ফারহানা আক্তার চুমকি জয়পুরহাট সদর উপজেলার মধ্যদড়িপাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) জুলাই সকালে ঘোড়াঘাট উপজেলার ১নং বুলাকীপুর ইউনিয়নের কালুপাড়া এলাকায় মোজামের আম বাগান থেকে চুমকির মরদেহ অজ্ঞাত বলে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। পরে তার পরিচয় শনাক্ত হলে নিহতের বাবা মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা করে। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ হত্যায় জড়িত চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগীদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। (ঢাকাটাইমস/৩আগস্ট/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :