ঝালকাঠিতে উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়ল ব্রিজের সংযোগ সড়ক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০২৩, ২২:৩৭
অ- অ+

উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়েছে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সরমহল গ্রামের সিংহবাড়ির খালে ওপর নির্মিত ব্রিজের সংযোগ (অ্যাপ্রোচ) সড়ক। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি। কাজের শুরু থেকেই সংযোগ সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ করে আসছিলেন স্থানীয়রা। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে দায়ী করেছে।

নলছিটি উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু ও দুই পাশে ১০৪ মিটার সংযোগ সড়কের কাজের জন্য খরচ হয়েছে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে কুশঙ্গল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম সংযুক্ত হবে।

সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর দুই পাশের সংযোগের তিন দিকের সড়ক বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে। এছাড়া সেতুর গোড়ায় বাঁধাই করা ব্লক সরে গেছে, সড়ক ফুটো হয়েছে। সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম দিকের সংযোগের বালু সরে গিয়ে কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ব্লকও ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। ঠিকাদারের লোকজন ফাটল ও ধসে পড়া অংশ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজ শুরুর দিকে ধীরগতি ছিল। কিন্তু যথাসময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য শেষের দিকে এসে তড়িঘড়ি করে কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) সঠিক তত্ত্বাবধান না থাকায় ও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে সেতুতে ওঠার সড়কটি।

সরমহল গ্রামের বাসিন্দা কালাম সরদার, রুহুল আমীন হাওলাদার ও তুহিন সরদার বলেন, সড়ক ও সেতুটির নির্মাণ শুরু হওয়ার পর এলাকায় মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিলো। তবে নিম্নমানের কাজ দেখে হতাশা দেখা দেয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দরপত্রের মাধ্যমে মেসার্স এম এম এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে কাজটি পান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমীন। পরবর্তী সময়ে তিনি বিক্রি করেন মো. নান্নু, মনির হোসেন, রিয়াজ ও কামাল হোসেন নামে চার ব্যক্তির কাছে। কাজের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেলে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছর সময় বাড়ানো হয়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজন মনির হোসেন বলেন, রড, সিমেন্ট, পাথরসহ নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ভারী বর্ষণে সংযোগ সড়কের যে ক্ষতি হয়েছে, তা সংস্কার করা হবে।

কুশঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সিকদার বলেন, আগ্রাধিকার ভিক্তিতে নির্মাণাধীন এই সেতুটি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উদ্বোধনের কথা ছিল। এমন সময় সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে পড়ার খবর পেয়ে আমি এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ইকবাল কবীর বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ঠিকাদার দ্রুত সংস্কার করে দেবে। নিয়ম অনুযায়ী কাজ না করলে বিল পাবে না।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বৈষম্যবিরোধী ও এনসিপির আন্দোলনের মুখে পটিয়া থানার ওসি প্রত্যাহার
বাংলামোটরে এনসিপির জুলাই চিত্র প্রদর্শনীর গাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
তাড়াশে সম্পত্তি লিখে নিয়ে বাবা-মাকে বাড়িছাড়ার অভিযোগ
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা