বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, আতঙ্কে নিম্নাঞ্চলের মানুষ

নুর আলম বাবু (নীলফামারী) ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১৪:০০ | প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৯

উজানের পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি আবারও বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। সোমবার সকাল ৬টায় নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.৩৫ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরে সকাল ৯টায় পানি কমে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে রবিবার বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বাড়ায় নীলফামারীর ঝুনাগাছ চাপানি, পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানি কমা-বাড়াতে চরম আতঙ্কে দিন পার করছে তিস্তা পারের মানুষ।

ডালিয়া পয়েন্টের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, গেল কয়েক দিন ধরে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্য দিয়ে আছে। আজ সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় কমে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি আরও বৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় ডিমলা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। এতে চরম আতঙ্কে আছে নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষ।

বাইশ পুকুর এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে এবারে আমাদের ৫ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। নদীতে ভেঙে গেছে অসংখ্য ফসলি জমি। বাড়িতেও পানি উঠেছে। রাতে বিছানায় পানি উঠেছে, ঘুমাতে পারি নাই।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম জানান, রাতে ঘুমাতে পারি নাই। বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। রান্নাবান্নার কোনো ব্যবস্থা নাই। বাড়িতে চিড়া-মুড়ি যা আছে তাই দিয়ে কোনো রকমে দিন পার করছি।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান বলেন, রাত থেকে বন্যা দেখা দিয়েছে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলোতে। আমরা রাতেই অনেককে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি এবং যারা এখনও পানিবন্দি হয়ে আছে তাদেরকেও অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, গতকাল রাতে ডিমলা উপজেলার তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি সকলকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশরা ।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। আমাদের পানি উন্নয়নের বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সজাগ আছে। কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩ আগস্ট/ ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :