অর্ধশতাধিক কিশোরকে দিয়ে মাদক বাণিজ্য, নেপথ্যে কেডিসি রনি

বরিশাল নগরীর কেডিসি বস্তিসহ আশপাশে প্রায় অর্ধশতাধিক শিশু-কিশোরকে দিয়ে মাদক বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন কেডিসি রনি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেডিসি, লামার চর, চাঁদমারি এলাকায় এই কেডি চিরনির নেতৃত্বে কোমলমতি শিশু-কিশোর দিয়ে মাদক বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। কেডিসি এলাকার আলমগীর সর্দারের ছেলে রনি (৩৭)।
কেডিসির বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, রনি ও তার লোকজন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইয়াবা ও গাঁজার বেচাকেনা চলে। যা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে কেডিসি রনি। বন্দুকযুদ্ধে নিহত মাদক সম্রাট মালেকের বোনের ছেলে কেডিসি রনি প্রায় দেড় যুগ যাবৎ মাদকের এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে রনির লোকজন আটক হলেও অধরাই থাকে রনি।
রবিবার সন্ধ্যায় ১শ গ্রাম গাঁজাসহ আটক হয় জিলাস্কুল এলাকার রতনের ছেলে অন্তর (১৪)। কোতোয়ালি মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর রাকিবের নেতৃত্বে একটি অভিযানে আটক হয় অন্তর।
সেসময় অন্তর সবার উপস্থিতিতে বলতে থাকেন আমাকে কেডিসি রনি ভাই এই প্যাকেটটি দিয়ে চাঁদমারি এলাকার জসিমকে দিতে বলেন। আমি প্যাকেটটি জসিমকে দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ আমাকে আটক করে। এ ঘটনায় অন্তরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হলেও অধরাই থেকে যায় রনি। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
তাদের বক্তব্য হলো, রনি এই শিশুদের দিয়ে মাদকের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় সময় রনির লোকজন আটক হলেও বহাল তবিয়তে থাকে। রনি চালিয়ে যাচ্ছে তার মাদক বাণিজ্য।
তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি এলাকাবাসীর জোর দাবি তারা যেন রনিসহ তার বাহিনীর সব সদস্যকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করেন।
তাহলে রনির ছোবল থেকে মুক্তি পাবে কয়েক ডজন কোমলমতি শিশু।
বন্ধ হবে মাদকের এই বিশাল সিন্ডিকেট।এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। যত বড়ই সিন্ডিকেট গড়ে তুলুক অচিরেই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এআর)

মন্তব্য করুন