দা-বটি শান দিয়ে মাসে আয় ২০ হাজার টাকা

মো. রাজীব হোসেন, টঙ্গী-পূবাইল (গাজীপুর)
 | প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট ২০২৩, ১৫:৩৮

‘ছুরি, বটি, কাঁচি ধার করাইবেন?’ মহল্লার গলিতে জোরালো কণ্ঠে উচ্চারিত কথাটি শোনেননি এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। প্রাচীনকাল থেকে ‘শান মেশিন’ কাঁধে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা এ কথা বলেন। বিংশ শতাব্দির শুরুর দিকেও শান মেশিনের খুব প্রচলন ছিল।

দেখা যেত, যুবক কিংবা বয়স্ক পুরুষ কাঁধে করে শান মেশিন নিয়ে বাড়ি বাড়ি যেতেন। গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত ভোতা বটি, দা, কাঁচি ধার করতেন শান মেশিন দিয়ে। পায়ে প্যাডেল ঘুরিয়ে একটি পাথরের মতো ঘূর্ণায়মান গ্রিন্ডারের সঙ্গে ঘঁষে ধার করা হতো।

গাজীপুর জেলার টঙ্গী, পূবাইলে দেখা যাচ্ছে এ রকম পেশার মানুষের।

সিলেট, হবিগঞ্জের বাসিন্দা জুয়েল হোসেন, বয়স তার ৪০। ১৫ বছর ধরে তিনি এই পেশায় রয়েছেন। থাকেন টঙ্গীর মধুমিতা এলাকায়।

জুয়েল হোসেন পূবাইলের বসুগাঁও এলাকায় গৃহিণী আমেনার বাসায় বটি ধার করছেন মেশিন দিয়ে। তার সামনে বেশ কয়েকটি বটি, দা, ছুরি একের পর এক মেশিনে ধার দিচ্ছেন। এসময় গৃহিণী আমেনার সঙ্গে কথা হয়।

তিনি বলেন, আমাদের এলাকার অনেক পরিবারের দা-বটি মেশিনের মাধ্যমে ধার করা হয় তার কাছ থেকে। জুয়েল হোসেন কাজের ফাঁকে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি অনেকদিন হইলো টঙ্গী এলাকায় আইছি। টঙ্গী এলাকার মরকুন, মিরাশপাড়া, মধুমিতা, বনমালা, পূবাইল, মেঘডুবী, মাজুখান, হায়দরাবাদ, হারবাইদ, বিন্দান এলাকায় মানুষের বাসায় গিয়ে গিয়ে দা-বটিতে শান দিই। বর্তমানে শান দিয়ে প্রতিমাসে আয় করি ১৫-২০ হাজার টাকা। এই টাকায় আমার সংসার চলে।’

আরেকজন শান ওয়ালা আমিনুল বলেন, আমরা এলাকায় প্রবেশ করে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে আওয়াজ দিয়ে আমাদের উপস্থিতি জানান দিই। শান ওয়ালারা বটি শান দিতে (ধার) নেন পঞ্চাশ টাকা, ছুরি বিশ টাকা, ছাপাতি একশত টাকা, শিলপাটা একশত টাকা। অনেক সময় এর পার্থক্য দেখা যায়।

কুদাব এলাকার বাসিন্দা জহিরুল আলম লিটন বলেন, দা-বটি বাজারে নিতে ঝামেলা। শান ওয়ালারা বাসার সামনে এলে ওদের কাছ থেকে ধার দিই। এতে একটু ঝামেলা কম মনে হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :