হাতুড়ে ডাক্তারকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা
নড়াইলের কালিয়ায় লাইসেন্স ক্লিনিকের মালিক ও ভুয়া ডাক্তার নাইম মোল্লাকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের জেল দেয়া হয়।
সোমবার বিকালে কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রদীপ্ত রায় দীপন।
এ সময় নাইমের স্বজনরা জরিমানার টাকা পরিশোধ করায় তাকে অব্যহতি দেয়া হয়। তবে ক্লিনিক পরিচালনার জন্য বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ক্লিনিক পরিচালনা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। ভুয়া ডাক্তার নাইম উপজেলার চাচুড়ি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের আমির হোসেন ওরফে লেদু মোল্যার ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, চাচুড়ি বাজারে অনুমোদন না নিয়ে নাবিল সার্জিক্যাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন নাইম মোল্যা। তিনি কোন চিকিৎসক নন। তার কোন প্রশিক্ষণ নেই। টেকনিশিয়ান না হয়েও তিনি নিজেই মল, মুত্র রক্ত পরীক্ষা ও এক্স-রে করেন। তিনি নামের আগে ডাক্তার যুক্ত করে ৫০ টাকা ফিস নিয়ে রোগী দেখেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নাইমকে আটক করে কালিয়া ভূমি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অপরাধ পর্যালোচনা করে বিকাল ৫টার দিকে মেডিকেল ও ডেন্টাল আইন ২০১০-এর ২৯(২) ধারায় ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা পরিশোধ করায় তাকে অব্যহতি দেয়া হয়। তবে ক্লিনিক বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রদীপ্ত রায় দীপন বলেন, ক্লিনিক পরিচালনার পক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। এ ছাড়া প্যাডে নিজেকে চিকিৎসক লিখলেও কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় এ জরিমানা করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এআর)