সহকর্মীকে মারধর করায় ঢাবি অধ্যাপক মেসবাহ্-উল ইসলামের পদাবনতি

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:৪৬
অ- অ+

অসদাচারণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল- ইসলামকে পদবনতি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিস্বরুপ পদানবতি দিয়ে অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি ও ট্রাইবুনালের সুপারিশক্রমে আজ সিন্ডিকেটের এক সভায় উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদানবতির এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ তার বিরুদ্ধে সহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠে। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলাম তার কক্ষে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামকে মারধর করেন। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

সেসময় অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, সন্তানের অসুস্থতার কারণে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ বিভাগের অ্যাকাডেমিক মিটিংয়ে আসতে না পারায় পরের দিন মঙ্গলবার ক্লাস নিতে এলে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহ-উল ইসলাম অ্যাকাডেমিক মিটিংয়ে কেন আসতে পারেননি বলে তার কৈফিয়ত চান। এ সময় এ শিক্ষককে গালিগালাজ এবং তাঁর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

পরে একই দিন বিকেলে বিভাগের সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রামে ক্লাস নিতে এলে বিভাগের কর্মচারী দিয়ে আনোয়ারুলকে ডেকে আনেন ড. মেজবাহ-উল ইসলাম। পরে চেয়ারম্যানের রুমে গেলে চেয়ারম্যান তাকে অনেক গালিগালাজ করেন এবং কেন মিটিংয়ে আসেনি তার কারণ জানিয়ে দরখাস্ত দিতে বলেন।

আনোয়ারুল দরখাস্ত না দিয়ে ছুটির ফরম জমা দেবেন জানালে তখন অন্য সহকর্মীদের সামনে চেয়ারম্যান তার (আনোয়ারুল) শার্টের কলার ধরে তাকে ধাক্কা দেন। এ সময় সহকর্মীরা চেয়ারম্যানকে আটকানোর চেষ্টা করেন। পরে তারা চলে গেলে চেয়ারম্যান মেজবাহ ফের আনোয়ারুলের ওপর চড়াও হন এবং তাকে লাথি ও ঘুষি দেন।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক মেজবাহ-উল-ইসলাম বলেছিলেন, আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি অ্যাকাডেমিক মিটিংয়ে সমাধান হয়ে গেছে।

তবে দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর পর বিষয়টি সিন্ডিকেটে উঠলে অধ্যাপক মেজবাহকে শাস্তিস্বরূপ পদবনতি দেওয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এসকে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীর দাবি ‘অপচিকিৎসায়’ শামসুদ্দোহা শিমুলের মৃত্যু, বিচার চায় পরিবার
অবৈধ অস্ত্র, গুলি, বোমা ও গাড়িসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্য গ্রেপ্তার
থানায় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সরাসরি-ভিডিওকলে কথা বলবেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি
আওয়ামী লীগের বিচার ইস্যুতে মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে যাবে এনডিএম
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা