প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনা সভায় বক্তারা

‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে দেশের শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা আজ ঐক্যবদ্ধ’

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:২৮

বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে দেশের শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। অতীতে দেশের ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা যে ধরনের ভূমিকা পালন করেছেন আজো ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অপশক্তিকে মোকাবেলা করার সাহসী উচ্চারণ করেন দেশের বিশিষ্টজনের।

বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনে 'গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সাহসী নেতৃত্ব' শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনের এমন দৃঢ় বক্তব্য ব্যক্ত করেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শেখ হাসিনা নামটিই সকল গুণাবলী ধারণ করে। বঙ্গবন্ধু কন্যার মধ্যে সকল গুণাবলী নিহিত। কী অসীম মমতায় তিনি বড়দের সম্মান করেন। শিক্ষককে কী করে সম্মান করা যায় সেটি তার মধ্যে ভীষণভাবে রয়েছে। শেখ হাসিনা নামটুকুইই সব কিছু ধারণ করে। এমন একটা সময় আসবে যখন শেখ হাসিনা নামে সারা বিশ্বের মানুষকে আমরা পুরস্কৃত করতে পারবো। ৫০০ বছর পরেও শেখ হাসিনা থাকবেন। তার নাম তখন অনেকেই গর্ব করে বলবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন মানবিক গুণাবলি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের সকল কিছু বঙ্গবন্ধু কন্যার মাথার মধ্যে। তিনি কোনো কিছুই ভুলেন না। তাঁর স্মরণ শক্তি এতো বেশি যা বলে শেষ করা যাবে না।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল ঘটনা বাঙালির জন্য মর্মান্তিক, দুঃখজনক ও ভয়ানক অভিজ্ঞতা। যতো উন্নয়নেই আমরা যাই না কেন-এই ব্যথা ও কলঙ্ক থেকে বাঙালি কোনোদিন মুক্তি পাবে না। সেদিন বেলজিয়ামে দুই বোন ছিলেন। ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অত্যন্ত কঠিন দিন পার করেছেন। এসব দিনগুলোর কথা হয়তো বা কিছু কিছু শুনেছি। অনেক অজানা গল্প রয়ে গেছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা যদি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে না আসতেন, আজকের বাংলাদেশে কী হতো। বিরাজ করত গণতন্ত্রহীন, সামরিক শাসনের যাঁতাকল। পঁচাত্তর থেকে শুরু করে নব্বইয়ের ভোট এবং ভাতের অধিকারের স্লোগান তিনি নিশ্চিত করেছেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু কন্যা ফিরে না আসলে বাংলাদেশ আজ মিয়ানমার এবং পাকিস্তানের চেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকত। একদিনে যে দেশের সকল জেলায় বোমা হামলা হয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা হয়, উদীচীর অনুষ্ঠানে হামলা হয়, রমনার বটমূলে হামলা হয়। সবকিছুর জবাব শেখ হাসিনা এক হাতে দিয়েছেন। তিনি যদি ফিরে এসে জঙ্গিবাদ নির্মূল না করতেন তাহলে বাংলাদেশ হতো জঙ্গিবাদের উদার ক্ষেত্র। গণতন্ত্র আর অর্থনৈতিক দুর্দশায় শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি দুর্দশায় পড়তাম আমরা।'

প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, আজ পরাশক্তি স্যাংশন এবং ভিসা নীতির কথা বলছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের আয়োজন থেকে তাদেরকে বলতে চাই- গণতন্ত্রের প্রতি যদি কোনো আঘাত আসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে দেশের শিক্ষাবিদ এবং বুদ্ধিজীবীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিহত করবে। যে কোনো মূল্যে দেশের জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত রয়েছে শিক্ষাপরিবার।'

সভায় আলোচক ছিলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেন। এছাড়া আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দীন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮ সেপ্টেম্বর/ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :